পাতা:প্রায়শ্চিত্ত ১৯২০ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রায়শ্চিত্ত \ల( হতভাগা যে ভগবান তাকে সত্য কথা শুনতে দেবেন না ? ওরে, জোর করে শুনিয়ে আসব। ৫ । ও ঠাকুর, তার জোর যে আমাদের চেয়ে বেশি– তারই জিত হবে । ধনঞ্জয়। দূর বাদর, এই বুঝি তোদের বুদ্ধি! ষে হারে তার বুঝি জোর নেই! তার জোর যে একেবারে বৈকুণ্ঠ পর্যন্ত পৌছোয়, তা জানিস ! ৬। কিন্তু ঠাকুর, আমরা দূরে ছিলুম, লুকিয়ে বঁচিতুম— একেবারে রাজার দরজায় গিয়ে পড়ব, শেষে দায়ে ঠেকলে আর পালাবার পথ থাকবে না। ধনঞ্জয় । দেখ, পাঁচকড়ি, অমন চাপাচুপি দিয়ে রাখলে ভালো হয় না। যতদূর পর্যস্ত হবার তা হতে দে, নইলে কিছুই শেষ হতে চায় না। যখন চূড়ান্ত হয় তখনই শাস্তি হয়। ৭ । তোরা অত ভয় করছিস কেন ? বাবা যখন আমাদের সঙ্গে যাচ্ছেন উনি আমাদের বঁচিয়ে আনবেন । ধনঞ্জয় । তোদের এই বাবা যার ভরসায় চলেছে তার নাম কর । বেটার কেবল তোর বঁাচতেই চাস— পণ করে বসেছিল যে মরবি নে। কেন, মরতে দোষ কী হয়েছে ? যিনি মারেন র্তার গুণগান করবি নে বুঝি ! ওরে, সেই গানটা ধর। গান বলে ভাই, ধন্য হরি ! বঁাচান বঁচি, মারেন মরি। ধন্ত হরি মুখের নাটে, ধন্ত হরি রাজ্যপাটে !