পাতা:প্রায়শ্চিত্ত ১৯২০ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রায়শ্চিত্ত ● ● ব্যস্তভাবে বসন্ত রায়ের প্রবেশ সীতারাম। যুবরাজকে নিষেধ করলুম, তিনি শুনলেন না। বসন্ত রায়। হা, ই সীতারাম, কী বললি ? অধৰ্ম করিস নে সীতারাম, উদয়াদিত্যের এতে কোনো দোষ নেই। সীতারাম। আজ্ঞা না, যুবরাজের কোনো দোষ নেই। প্রতাপাদিত্য। তবে তোর দোষ ? সীতারাম। আজ্ঞা না। প্রতাপাদিত্য । তবে কার দোষ ? সীতারাম। আজ্ঞা, যুবরাজ– প্রতাপাদিত্য । তার সঙ্গে আর কে ছিল ? সীতারাম। আজ্ঞে বউরানীম!— প্রতাপাদিত্য। বউরানী ! ওই সেই শ্ৰীপুরের— ( বসন্ত রায়ের দিকে চাহিয়া) উদয়াদিত্যের এ অপরাধের মার্জনা নেই। বসন্ত রায় । বাবা প্রতাপ, উদয়ের এতে কোনো দোষ নেই। প্রতাপাদিত্য। দোষ নেই ? তুমি দোষ নেই বলছ বলেই তাকে বিশেষরূপে শাস্তি দেব। তুমি মাঝে পড়ে মীমাংসা করতে এসেছ কেন ? শোনো পিতৃব্যঠাকুর । তুমি যদি দ্বিতীয়বার যশোরে এসে উদয়াদিত্যের সঙ্গে দেখা কর তবে তার প্রাণ বাচানো দায় হবে। বসন্ত রায় । ( কিয়ংকাল চুপ করিয়া থাকিয়া ধীরে ধীরে উঠিয়া) ভালো প্রতাপ, আজ সন্ধ্যাবেলায় তবে আমি চললেম । [ প্রস্থান