পাতা:প্রায়শ্চিত্ত ১৯২০ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o প্রায়শ্চিত্ত আমি আর দাড়াতে পারছি নে। বুকের ভিতর ধেন আগুনে জলে যাচ্ছে। তোমার পায়ের ধুলো নিতে এলুম। অপরাধ যা-কিছু করেছি মাপ কোরো । ভগবান করুন, যেন আমি গেলেই শাস্তি হয় । [ পদধূলি লইয়া প্রস্থান মহিষী। ওষুধ থেয়েছে বুঝি ! বিপদ কিছু ঘটবে না তো ? ষে যা বলুক, বউমা কিন্তু লক্ষ্মী মেয়ে। ওকে এমন জোর করে বিদায় করলে কি ধর্মে সইবে ? বামী, বামী ! বামীর প্রবেশ বামী। কী মা ? মহিষী। ওষুধটা কি বড্ড কড়া হয়েছে ? বামী । তুমি তো কড়া ওষুধের কথাই বলেছিলে । মহিষী। কিন্তু, বিপদ ঘটবে না তো ? বামী । আপদ-বিপদের কথা বলা যায় কি ! মহিষী। সত্যি বলছি বামী, আমার মনটা কেমন করছে। ওষুধটা কি খেয়েছে ঠিক জানিস ? বামী । বেশিক্ষণ নয়, এই খানিকক্ষণ হল খেয়েছে। মহিষী। দেখলুম, মুখ একেবারে সাদা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। কী করলুম কে জানে ! হরি, রক্ষা করে ! বামী ! তোমরা তো ওকে বিদায় করতেই চেয়েছিলে ! মহিষী । না না, ছিছি, আমন কথা বলিস নে। দেখ, আমি তোকে আমার এই গলার হারগাছটা দিচ্ছি, তুই শিগগির দৌড়ে গিয়ে মঙ্গলার কাছ থেকে এর উলটে ওষুধ নিয়ে জায় গে। ষা বামী, ষা । শিগগির यी ! [ বামীর প্রস্থান বিভার সরোদনে প্রবেশ दिखां । यां यो, कौ ह्यज भी !