পাতা:প্রিয়বালা.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ । # তিনি সহধৰ্ম্মিণীর হস্ত হইতে পত্ৰখানি লইয়া, জাবরণ উন্মোচন করতঃ নিবিষ্টচিত্তে ক্ষণকাল পাঠ পূর্বক ব্রাহ্মণীকে আহ্বান করি, লেন। ব্ৰাহ্মণী তখন অন্তগুহে ছিলেন। স্বামীর হস্তে পুত্রের পত্র সমৰ্পণ করিয়া তিনি আপন কক্ষে আসিয়া মঙ্গলাকে কতকগুলি নাড়, থাইতে দিলেন। মঙ্গলা আহার করিতে লাগিল, গৃহিণী তাহার নিকট বসিয়া নানাপ্রকার গল্প করিতেছিলেন। এমন সময় কৰ্ত্তার কণ্ঠস্বর শুনিয়া তিনি তৎক্ষণাৎ তাহার নিকট আগমন করিলেন। কর্তা বলিলেন, "ব্রাহ্মণি! হয়েন্ত্রের মাহিনী বাডিয়াছে, ঈশ্বর এতদিনের পর আমাদের প্রতি মুখ তুলিয়া চাহিলেন । হরেন্দ্র লিখিয়াছে যে, এবৎসর সে চল্লিশ টাকা করিয়া পাইবে, এবং আর পাঁচ বৎসরের মধ্যেই তাহার বেতন যাইট টাকা হইবার সম্ভব।" পুতিমুখে এই মুসীবাদ শ্রবণ করিয়া গৃহিণী আনন্দে পুলকিত হইয়া বলিলেন, “স্থাগা, যাইট টাকা সে কত ?” বৃদ্ধ তখন হাদিতে হাসিতে বলিলেন, "আরে পনের গও,— বলি-এখন বুঝেছ।" ব্রাহ্মণী তখন গদগদম্বরে বলিলেন, "তবে এপার সেই টুকটুক্ষে মেয়েটকে আমি বউ কোর্ধই কোরব। হরেন আমার শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এই পচিশ বংসরে পা দিয়েছে। আর আমি কলে আছি—কবে নাই, এই বেলা হয়েনের বিয়ে দিয়ে বোমার মুখ দর্শন কোরব।—ইগা, তুমি কি বল ?” ব্রাহ্মণ এই কথা শুনিয়া বলিলেন, “সে ত মুগ্ধের কথা । অস্থা হরেন্দ্র আম্বক, তাহার যা ইচ্ছ, তাহাই হবে। ছেলের বয়স হইয়াছে, এখন কি আর তার অমতে কোন কাৰ্য্য করা ভাল Pেধtয়।" ব্রাহ্মণী বাক্যব্যয় না করিয়া নিজকক্ষে গমন কবিলেন ।