পাতা:প্রিয়বালা.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२४- প্রিয়বলা । একদৃষ্টি চাহিয়া রহিয়াছে। আকাশে দু-একটা নক্ষত্রমাল উকি মারিতেছিল। এইরূপ সময়ে নীরদবাবু পুনরায় জ্যেষ্ঠভ্রাতার সহিত সাক্ষাৎ করিবার মানলে বৈঠকখানায় উপনীত হইলেন। প্রবোধবাবুর সম্প্রতি কোন কার্যান থাকাতে তিনিও আহারাদির পর বিশ্রাম করিবার জন্ত ক্ষাকাল নিদ্রিত হইয়াছিলেন। বেলা অবসান দর্শনে তিনিও নিদ্রপরিত্যাগ পূর্বক সাংস্কালীন কার্যকলাপ পর্য্যবেক্ষণ করিতেছিলেৰ এমন সময়ে নীরদ আসিয়া উপস্থিত হইলেন। নীরদকে দেখিয়া তিনি বললেন, "দেখ নীরদ ! তবে তাহাই ঠিক হইল। বিষয় এখন হইতে তোমার নামে রহিল। আমি যাহা যাহ। ਬਿਜ, আগামী কল্য হইতে তোমাকেই সেই সমস্ত করিতে হইবে। আর একটা কথা এই যে, আমি আমার লাইফ ইন্‌সিওর (Life Insure) করিয়াছি —সে আজ প্রায় সাত বৎসরের কথা। কিন্তু আমি যে বিদেশ যাইতে মনস্থ করিয়াছি, সে কথা তাহারা জানে না। তাঙ্গাদের না জানাইয়া আমি এখন কোথাও যাইতে পারি না। তাই বলিতেছিলাম, একবার সেইখানে একখানা চিঠী লিখিতে छट्रेtत ।" নীরদ বাবু তৎক্ষণাং জিজ্ঞস করিলেন, "কত টাকার লাইফ ইনসিওর করিয়াছেন ?” “ষাইট হাজার টাকার। আমার পশ্চিম যাত্রায় তার আপত্তি না করিলেই বাচি।" এইকথা শুনিয়া নীরদ বলিলেন, "সে বিষয়ে বোধ হয় কোন চিস্তা নাই । আমি অজই সেই অফিসে একখানি দরখাস্ত করিব । এখন রাত্রিও হইয়াছে অtহারাত্বিও প্রস্তুত । আপনি কি আহার করিতে আসিবেন ?”