সপ্তম পরিচ্ছেদ । ૭૭ দিল্লীর যে স্থানে, তাহাদের বাস, সেখানে আর কোন বাঙ্গালী বাস করিতেন না, কেবল কতকগুলি উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের হিন্দু সেই স্থানে থাকিতেন। তাহারাও যথেষ্ট সমৃদ্ধিশালী । সুতরাং তাহদের সহিত অতুলবাবুর বিশেষ প্রণয় জমিয়াছিল। র্তাহীদের অন্তঃপুর মহিলাদিগের সহিত প্রিয়বালারও সদ্ভাব ছিল। একদা অতুলবাবু কৰ্ম্মস্থান হইতে বাট আসিয়া কিঞ্চিং বিশ্রাম করিবার পর স্বীয় পত্নীকে বলিলেন, “প্রিয়বালা ! আজি মেজদাদার পত্র পাইয়াছি । বোধ হয়, আমাদের কিছুদিনের জন্য চম্পাপুরে যাইতে হইবে। বড়দাদা কাৰ্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছেন। যা ও বড় বেীকে লইয়া তিনি শীঘ্রই পশ্চিম আদিবেন। বিষয়াদির কিরূপ ব্যবস্থা হইল, দাগষ্ট বা ইতিমধ্যে কেন পেনসন · গ্রহণ করিলেন, এসব সবিশেষ জানিবার জন্য একবার সেখানে যাওয়া নিতান্ত আবশ্যক। প্রাতেই পত্র পাইয়াছিলাম। আমিও আজ এক মাসের ছুটী লইয়াছি । অতএব আর কলবিলঙ্গ না করিয়া কলাই স্বদেশ যাত্রার বাসনা করিয়াছি। কেমন, তুমি কি বল ?” প্রিয়। আমি আর কি বলিব ? তোমার ট্যান্তেই আমার ইচ্ছা, তাও কি তুমি জান না ? আচ্ছ, তবে আমাদের এ বাীিত কে থাকৃদে ৷ অতুল। কেন বাটতে চাবী দিয়া আমুরা সকলেই যাইব । , পাড়ার সকলকে বলিয়। যাইব, তারা এক একবার আমাদের বাটার তত্ত্বাবধান করিলে । প্রিল তা হলেই বেশ হবে। আমি ভাবিতেছিলাম, বঞ্চি আমাদের ঝিকে এখানে রাখিয়া যাইব ।
