পাতা:প্রিয়বালা.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে যাহা হউক খামার স্বরে মোহিনীও ভীত হইলেন। তিনিও সতীশের অনুসরণ করিতে; লাগিলেন। ক্রমে মোহিনী ও খামার চারি চক্ষু এক হইল! খাম৷ সতীশের হস্তে ছদ্ধ পাত্ৰ দেখিয় তাহার আর বুঝতে কিছুই বাকি ছিল না। সে তৎক্ষণাৎ সতীশের হস্ত হইষ্ট্রে রেই ছদ্ধ পাত্র বলপূর্বক গ্ৰহণ করিয়া দূরে নিক্ষেপ করত সতীশকে বলিতে লাগিল, “সতীশ । আর তোর দুধ খেয়ে কাজ নই, তুই আমার কাছে আয় ।” মোহনীর এ সকল আয়ুসহ হইল না। সামান্য পরিচারিকা তাহার অপমান করিলু। তাহার প্রদত্ত ছুখপত্র ভূমিতলে নিক্ষেপ করিল, এ অপমানে কিরূপে প্রতিশোধ লইবেন তাহরই উপায় উদ্ভাবন कठि লাগিলেন। অবশেঙ্কে ক্রোধে কম্পিত কলেবর হইয়া শুষ্ঠাকে বলিলেন, “গুমা তোর যে বড় অহঙ্কার দখতে পাই। আমি ছেলেকে দুধ খেতে দিলাম আর তুই বেটী দাসী হয়ে কিনা সেই জুধ ফেলে দিলি। এত তেজ তোর কিসে বলত।” খামাও এতদিন কোন কথা না বলিয়া নিরুপদ্রবে সকলই সহু করিয়া আসিতেছিল, কিন্তু আজ তাহার হৃদয়ে বড়ই আঘাত লাগিয়াছে। আজ ভূষণার জন্য তাহার প্রাণ মাকুল হইতেছে। যে সতীশকে সে আশৈশব লালন পালন করিপ্লক্সালিতেছে, আজ তাঁহাকে মোহিনী বিধ-মিশ্ৰিত দুগ্ধ প্রদান করিয়া ভহার প্রাণহানি করিতে চেষ্টা পাইয়াছে, সুতরাং খাম। আর চুপ করিয়া রহিল না ; ক্রোধে বলিয়া উঠিল, “এগো তোমার আর জত মায়া দেখাতে হবেনা । তোমার যত মায়। তাই এক কথায় জানা গেছে। তোমরা মনে করেছ যে তোমাদের মনের কথা কেহই জানতে পারবে না, কিন্তু ইহা বেশ জন