পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎭᏬ প্রেমিক-গুরু ബ. ക്ഷ ও বিবেকঞ্জান হয়, জীব আর বুদ্ধি যে পৃথক, স্বতন্ত্র তাঁহারই উপলদ্ধি হয়—সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধি-ঈশ্বরের সংযোগ শ্লথ হইয় পড়ে, এই অবস্থার আরও গাঢ়ত হইলে, বুদ্ধি-পুরুষের সংযোগ একেবারেই ছিন্ন হইয়া যায়, বে সত্ত্বগুণ জীবের তাদৃশ বিবেকবুদ্ধি জন্মাইয়া দিয়াছিল, সেই সত্বগুণও এককালে অভিভূত হইয় পড়ে, তখন আর গুণবন্ধন থাকে না । હરે প্রকারে প্রেমিকে যতই একাগ্রত হইবে, ততই চিত্তের অন্ত বিষয়-বৃত্তি নিরুদ্ধ হইবে, তখন একমাত্র সেই প্রেমিক-সেই ধোয় বিষয়েরই মাত্র জ্ঞান থাকিবে,—ধ্যেয় বিষয়ের সহিত মাখাইয়া নিজের স্বরূপোপলব্ধি হইবে,-সুতরাং উপাস্ত, উপাসনা এবং উপাসক,—প্রেম, প্রেমিক, ও প্রেমিকা থাকিবে না । তখন জীব স্বরূপে প্রকাশমান হন, -- তখন তিনি কেবল সেই অবস্থামাত্রেই অবস্থিত থাকিবেন । তাই মুক্তিকে “कयल??? बजिब्रां कशिङ झग्न । কিন্তু এই ভাব মানবের প্রেমে সম্যক সাধিত হয় না। কেননা যাহাকে চিন্তা করা যাইবে, চিস্তাতরঙ্গের পরিচালনাৰ্দ্ধারা তৎস্বরূপই লাভ হইবে। ভগবান শুদ্ধসত্ত্ব—কাজেই তাহাকে মধুরভাবে চিত্ত৷ করিলে, শুদ্ধসত্ত্বে পরিণত হওয়া যায়। সখীর নিকট সখার ভাব, পিতার নিকটে পুত্রের আব্দার, বন্ধুর নিকটে বন্ধুর কথা—এসকলই নিকট বটে, কিন্তু প্রাণের এত অসঙ্কোচ--এমন হৃদয়বিনিময় আর কোথাও নাই । তাই ভক্ত ভগবানকে মধুরভাবে সাধন করিয়া থাকেন। এই পঞ্চবিধ ভাবানুরাগী সাধকগণের মধ্যে প্রধানীভূত ভক্তিমার্গের ভক্ত সালোক্যাদি চতুৰ্ব্বিধা মুক্তিলাভ করিয়া ঐশ্বৰ্য্যমুখোত্তর গতি প্রাপ্ত হইয়া থাকেন, সুতরাং ভক্ত্যঙ্গ-সাধনাবলম্বন করিলেই তাহারা সিদ্ধি লাভ করিতে পরিবেন। আর মাত্র কেৰলাভক্তিমার্গের দাস্তাদি চতুৰ্ব্বিধ ভাৰাশ্রিত ভক্তগণের মধ্যে সকলেই প্রেমভক্তি লাভ করিয়া প্রেমসেবোত্তর