পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি >>? সখি ! আমি আমার সেই “প্রাপ্তরত্ন” হারাইয়াছি, জীবনে আর সেই রত্বত পেলাম না--- এখন পরিণামের হীর হরিনামের হার 鬱 ত্বর পর তোরা অঙ্গে সই। আমি পরিয়ে সে হার মরিয়ে তাহার চরণ যুগলে পুনঃ দাসী হই। বিরহাগ্নিতে রাধার প্রেম কষিত সোনার ন্যায় হইয়াছিল । মিলনে যাহা ঢাকা ছিল, বিরহে তাহ প্রকাশিত হইল। আর তাহার মান নাই, গৰ্ব্ব নাই, সুখ নাই—দেহ বিফল, বুঝি প্রাণও বিফল । সকল প্রেমিকারই এই কথা মনে হয়,-- প্রিয়েযু সৌভাগ্যফলা হি চারুত ॥ তাহার শরীরের সৌন্দৰ্য্য—ৰ্তাহার ভরাযৌবন যদি প্রিয়সংস্থূক্ত না হইল, তাহা হইলে তাহ বিফল। মুহূর্তে মৃত্যু কবলিত হইয়াও রাধা, শু্যামসুন্দরের উপরে রাগ করিতে পারেন নাই । শ্ৰীকৃষ্ণ যদি প্রভাসে যাইয়া দুঃখে থাকিতেন, তবে কথা ছিল না । কিন্তু তিনি ত তথায় রাজা হইয়া-মহিষী লইয়া পরম সুখে কাল কাটাইতেছেন। অথচ একটা মুখের কথা বলিয়াও সত্ত্বনা করিতে আইসেন না, একটা লোক পাঠাইয় তত্ত্ব করেন না । তিনি রাজা, ইচ্ছা করিলে সব করিতে পারেন, তবু করেন না কেন ? ভুলিয়া গিয়াছেন,—যে রাধাকে সৰ্ব্বদা হিয়ায় রাখিয়া নয়নের প্রহর দিতেন, তিনি স্বামী, ঘর, কলঙ্ক, নিন্দা, কুল, মান তুচ্ছ করিয়া যে শু্যামের প্রেমে ঝাপ দিলেন, সে আজি অক্লেশে রাধাকে ভুলিয়া অন্ত নারীর সঙ্গে কত রঙ্গে কাল যাপন করিতেছেন। এত ঘৃণা —এত তাচ্ছিল্য—এত হেলা কোন প্রেমিকা সহ্য করিবে ? সাধারণ