পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি »:ፃ তখন বুঝিলাম রামপ্রসাদ শাক্ত, তিনি মায়াকে জানিয়াছেন ; আর মায় তাহাকে বাধিতে পরিবেন না । তারপরে যখন শুনিলাম— সে যে ভাবের বিষয় ভাব ব্যতীত অভাবে কি ধর্তে পারে। তখন রাম প্রসাদকে বৈষ্ণব বলিয়া সন্দেহ হইল। তারপরে— ষড় দর্শনে দর্শন মিলে না আগম নিগম তন্ত্রসারে । ভক্তি রসের রসিক সে যে সদানন্দে বিরাজ করে ॥ তখন আর সন্দেহ মাত্র রহিলনা,—আমরা রামপ্রসাদকে বৈষ্ণব বলিয়া জানিতে পারিলাম। যে কোন দেবতার উপাসক হউক না কেন, এমন কি মুসলমান, খৃষ্টান প্রভূতিকে ও শাক্ত বা বৈষ্ণব বলা যাইতে পারে। অতএব কেবল বিষ্ণু-উপাসক বৈষ্ণব নহে,—পুথিবীর যে কোন জাতি হউক না কেন, যে সাধানার উচ্চস্তরে অধিরোহণ করিয়া মায়ার বাধন—আকর্ষণের আকুলত বিনষ্ট পূর্বক ব্রহ্মরসানন্দে ডুবিয়া গিয়াছেন, আমরা তাহাকে উচ্চকণ্ঠে “বৈষ্ণব” বলিয়া ঘোষণা করিব। আর বাসনাবিদগ্ধ জীব কেীপীন-কস্থাধারী হইলেও তাহাকে শাক্তাধম কিম্ব বদ্ধজীব বলিতে দ্বিধা করিব না । সুতরাং সকলেই জানিয়া রাখ যে, শাক্ত না হইলে কাহারও বৈষ্ণব হইবার অধিকার নাই । পাঠক ! আপন আপন সাম্প্রদায়িক গোড়ামী ভুলিয়া একবার সমাহিত চিত্তে চিন্তা কর দেখি, তাহা হইলেই উপরোক্ত বাক্যের সত্যতা উপলব্ধি করিতে পারিবে । তোমরা কি মনে কর যে, চোর, বদমায়েস লম্পটগণও শক্তি কি বিষ্ণুমন্ত্রে দীক্ষা গ্রহণ করিলেই মুক্ত হইবে ? কিন্তু একটু ভাবিলেই তোমাদের কথার অসারতা বুঝিতে পারিবে। আর শাক্ত বা বৈষ্ণব শব্দে উপরোক্ত অর্থ গ্রহণ কর, সকল বিবাদ ভঞ্জন হইবে, –শাস্ত্রবাক্যেরও মর্য্যদা রক্ষা হইবে । বাস্তবিকই বৈষ্ণব মুক্তির অধিকারী,-বৈষ্ণব ভিন্ন অন্ত কেহ মুক্তিলাভ করিতে পরে না । কিন্তু