পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిy প্রেমিক-গুরু করতঃ পূর্ণত্ব লাভ করিবে । তাই সৰ্ব্বাপেক্ষা কামিনীতে কামের আকর্ষণ অত্যধিক । সুতরাং কামিনীতে আত্মসংমিশ্রণ করিতে পারিলে, জীব আত্ম-সম্পূৰ্ত্তি লাভ করিয়া জগতের প্রধান আকর্ষণ নষ্ট করতঃ সহজে অন্তর রাজ্যে গমন করিতে পারে। তাই তন্ত্রশস্ত্রে কুলাচারের ব্যবস্থা । বস্তুতঃ কুলসাধন ভিন্ন মায়াময় জীবের কামের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার উপায় নাই। তন্ত্রকার বুঝিয়াছিলেন, বেদ পুরাণানুযায়ী উপদেশ মত রমণীর আসঙ্গ-লিঙ্গা পরিত্যাগ করা জীবের দুঃসাধ্য। প্রবৃত্তিপূর্ণ মানব স্থূল রূপ-রসাদির অল্প-বিস্তর ভোগ করিবেই করিবে ; কিন্তু যদি কোনরূপে তাহার প্রিয় ভোগ্যবস্তুর ভিতর ঠিক ঠিক আন্তরিক শ্রদ্ধা উদয় করিয়া দেওয়া যায়, তবে সে কত ভোগ করিবে করুক না—ঐ তীব্র শ্রদ্ধার বলে স্বল্পকালেই সংযমাদি আধ্যাত্মিক ভাবের অধিকারী হইয়া দাড়াইবে, সন্দেহ নাই। এই কারণে গোপীভাব-লুব্ধ ভক্ত, ভগবৎশাস্ত্রবিরোধী তন্ত্রসম্মত কুলাচারের অনুষ্ঠানে রাধাকৃষ্ণের উপাসনা করেন। তাহারা কুলসাধনবলে কামমুক্ত হইয়া ভগবরাজ্যে প্রবেশ করেন এবং গোপ্যমুগতিময়ী ভক্তিলাভ করিয়া শ্ৰীবৃন্দাবনে মহামন্মথ শ্ৰীকৃষ্ণের শ্ৰীচরণকমল-মুধা প্রাপ্ত হন । অতএব পোপীভাবলিঙ্গ প্রবর্তক-ভক্ত অর্থাৎ বাহামুরক্ত সাধক বাহিরে শাক্ত ভাবে এবং অস্তরে বৈষ্ণবভাবে ভগবানের উপাসনা করিবে । তন্ত্রশাস্ত্ৰ-মতে শাক্তের কুলাচার সাধন বর্তমান গ্রন্থকার প্রণীত "তান্ত্রিক গুরু,” নামধেয় গ্রন্থে লিখিত হইয়াছে। সুতরাং ভক্তিশাস্ত্ৰ-মতে শাক্তভাব অর্থাৎ কুলাচারের সাধনাই আমরা নিয়ে বিবৃত করিলাম। পূৰ্ব্বে যেমন সাধকের অস্তশ্চিস্তিতাভীষ্ট-দেহে সিদ্ধব্রজলোকে সাক্ষাজ্ঞজনের প্রণালী লিখিত হইয়াছে, সেইরূপ সাধকের গুণময় প্রাকৃত দেহদ্বারা রাধাকৃষ্ণের সাক্ষাৎ ভজনের উপায়ই কুলাচার প্রথা । সখীভাব