পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৬২ প্রেমিক-গুরু . পাঠক ! দেখিলে এই সকল সম্প্রদায়োক্ত সাঁধনপন্থাগুলি কিরূপ ভিত্তিমূলে প্রতিষ্ঠিত ; এখন পাশব-প্রকৃতি বিশিষ্ট জীব যদি অনধিকারী হইয়া সেইকার্য্যে হস্তক্ষেপ করতঃ তাহা কলুষিত করিয়া ফেলে, তজ্জন্ত তাহাদিগের সাধন-পন্থাগুলিকে কেহই অবজ্ঞা করিতে সাহসী হষ্টবেলা । অধিকারী হইয়া যে কোন কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করাই, সুধী-ব্যক্তির কর্তৃব্য। আমরা বলিয়া আসিতেছি যে, জাতজীব মাত্রেই মুথের অভিলাষী,— কেহই দুঃখ ভোগ করিতে চাহেনা,—সকলেই সুখের জন্ত লালায়িত ; – কিন্তু ইহজগতে সুথ কোথাও নাই, ইহজগতের সমস্তই অনিত্য অনিত্য পদার্থে নিত্যমুখ কোথায় ? ফুলের ধারে ঝরা, জীবনের ধারে মরা, হাসির ধারে কান্না, আলোর ধারে অন্ধকার, সংযোগের ধারে বিয়োগ,—এইরূপ সৰ্ব্বত্র ; সুতরাং নিৰ্ম্মল নিরবচ্ছিন্ন সুখ এই অনিত্য জগতে নাই। উপাসনা এই সুখ প্রাপ্তির জন্ত । শ্ৰীভগবানের চিন্ময় নিত্যানন ধাম হইতে শাস্ত, দাস্ত, সখ্য বাৎসল্য ও মধুর নিত্যরস-ধারা ঝলকে ঝলকে উৎসারিত হইয়া জগতে আসিতেছে, তাহারই অনুভূতিতে জীব মুখান্বেষী হয়। মধুরগন্ধে অলিকুল যেমন আকুল হয়, জীবও তদ্রুপ সেই মুখের গন্ধে অন্ধ s উদ্ধান্ত হয়,—অতএব সে মুখ প্রাপ্তিই জীবের শিক্ষা, দীক্ষা, সাধনা, ভজনা বা উপাসনার চরম উদেশ্ব। আবার সেই রসের পূর্ণ প্রাপ্তি মধুররসে,—মধুরসে পূর্ণানন্দ । মধুরে যুগলের উপাসনা । অতএব পূর্ণানন্দ বা পূর্ণমুখ প্রাপ্তির জন্য প্রথমতঃ কামমুক্ত হইয়া, পরিশেষে কামামুগাভক্তিবলে যুগলের উপাসনা করিবে । তন্তুশাস্ত্রের ভিতর যেমন সাধকদিগের উচ্চাবচ শ্রেণীর কথা আছে, তদ্ধপ বৈষ্ণবশাস্ত্রমতে জীবের চারিপ্রকার অবস্থা দৃষ্ট হয়। তটস্থ, প্রবর্ভক, সাধক ও সিদ্ধ এই চারি প্রকার অবস্থার মধ্যে তটস্থদেহে ক্রিয়াশূন্তত ; তটস্থভাব, প্রাকৃত জীবভাব অর্থাৎ সে অবস্থায় জীব কোন উপাসনার পথ