পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ዓe প্রেমিক-গুরু যাহারা হঠাৎ ভগবৎ-কৃপালাভ করিয়া প্রেমভক্তির অধিকারী হইয়া কৃতাৰ্থ হইয়া যান, তাহাদিগের কথা স্বতন্ত্র ; সেরূপ ভাগ্যবান, জীব কয়জন আছেন, জানিনা । সাধারণতঃ আমাদের দ্যায় জীবের অন্ততঃ তাহার কৃপা আকর্ষণের জন্তও নানাবিধ উপায় অবলম্বন করা কৰ্ত্তব্য । প্রথমতঃ ভক্তিবীজ বপনের উপযুক্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত করিতে হইবে,–এতদৰ্থে ধৰ্ম্মচরণের ব্যবস্থা । মানবজীবন সংগঠন করিতে হইলে, প্রথমেই শিক্ষনীয় বিষয় Discipline অর্থাৎ শৃঙ্খলা। যে ব্যক্তি প্রথম হইতে কোন বিধিমার্গে চলে না, তাহাতে ব্যভিচার আসিয়া উপস্থিত হয়, বিশৃঙ্খলার আবর্জনা তাহার সারাজীবনে জড়াইয়া যায়,—উচ্ছঙ্খলতায় স্বেচ্ছাচারিতা আইসে, স্বেচ্ছাচারিতা মানুষকে ক্রমে ক্রমে অধোগতির পথে টানিয়া লয়। তাই স্বধৰ্ম্মাচরণই সাধ্য, কেননা স্বধৰ্ম্মাচরণ হইতে চিত্তশুদ্ধি হইয়া মানবের ভগবস্তুক্তির উদয় হয় । যে, যেগুণে জন্মিয়াছে ; সেই গুণোচিত কার্য্যাকুষ্ঠানের নামই স্বধৰ্ম্মাচরণ । স্বধৰ্ম্মাচরণে সাধকের গুণক্ষয় হইয়া জ্ঞান-ভক্তির বিকাশ হয়। কিন্তু কৰ্ম্মানুষ্ঠানে যেরূপ গুণক্ষয় হয়, তদ্রুপ আবার গুণসঞ্চয় হইয়া থাকে ; তাই কৰ্ম্মানুষ্ঠানের সঙ্গে “কৰ্ম্মফল” ভগবানে সমর্পণ করিবার ব্যবস্থা । এই নিষ্কাম কৰ্ম্মানুষ্ঠান করিয়া, বিধিমার্গে চলিয়া অভিমানশূন্ত ও তাহার চিত্তচাঞ্চল্য দূরীভূত হয় ; কাজেই জ্ঞানের বিকাশ হইয়া থাকে। তখন তাহার জীবন বিধিময় এবং কৰ্ম্ম ভগবদপিত হওয়ায়, আর তাহার দ্বারা সমাজভঙ্গের আশঙ্কা নাই । এখন স্বতন্ত্রতাই তাহার উন্নতি, আর তাহাকে বিধিমার্গের গণ্ডীর ভিতর রাথ! কৰ্ত্তব্য নহে । তাই তখন তাহার স্বধৰ্ম্মত্যাগই ধৰ্ম্ম। তখন বিশুদ্ধচিত্তে সাধক শাস্ত্রাদি বিচারদ্বারা, নিত্যানিত্য বিবেক দ্বারা, জগতের স্বষ্টিকৌশল দ্বারা জ্ঞানালোচনা করিবে । এইজ্ঞান যখন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য যাবতীয় বিষয় পরিত্যাগ করিয়া, ইহমুত্রার্থ ফলভোগে বিরাগ ন্ধিয়া