পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૬ ૭ প্রেমিক-গুরু সমস্ত সংকল্প ক্ষয় হওয়ার নাম মুক্তি এবং সংকল্পমাত্রেই বন্ধন ; এমন কি ধোগাদি সাধনের সংকল্পও বন্ধন । সম্পূর্ণরূপে নিজের ইচ্ছা বা বাসনার ত্যাগই মুক্তি এবং বাসন মাত্রেই বন্ধন । সকল প্রকার আশা ক্ষয় হইলে মনের যে ক্ষয় হয় তাহাই মুক্তি এবং আশা মাত্রেই বন্ধন । সম্পূর্ণরূপে ভোগ-চিস্তার যে বিরাম তাহাই মুক্তি এবং ভোগ-চিস্তাই বন্ধন । সকল প্রকার আসক্তি ত্যাগই মুক্তি এবং বিষয়সঙ্গই বন্ধন। দ্রষ্টার সহিত দৃশু বস্তুর যখন সম্বন্ধ না থাকে তখনই মুক্তি এবং দ্রষ্টার সহিত দৃপ্ত বস্তুর যে সম্বন্ধ তাহাই বন্ধন । বিশেষ বিবেচনা করিলে ইহা স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, এই সমস্ত বাক্য দ্বারা মুক্তির একই ভাব প্রকাশ পাইতেছে। আত্মার স্বরূপভাব হইতে বিচ্ছিন্ন হওয়াই বন্ধন এবং স্ব-স্বরূপে অবস্থানই মুক্তি। তবে স্বরূপ সম্বন্ধে মতানৈক্য থাকিতে পারে, কিন্তু স্ব-স্বরূপে অবস্থানই যে মুক্তি, ইহা সৰ্ব্ববাদী সম্মত। যথা – মুক্তির্হিত্বাস্যথারূপং স্বরূপেণ ব্যবস্থিতিঃ । অর্থাৎ—অন্যথারূপ ত্যাগ করিয়া স্বরূপে অবস্থিতির নাম মুক্তি । দুৰ্ব্বাসা, দত্তাত্রেয়, উদালক, আরুণি, শুকদেব, প্রহ্নাদ, শ্বেতকেতু প্রভৃতি ৰহু ব্যক্তি রক্তমাংসের দেহধারি হইয়াও মুক্তপুরুষ বলিয়। শাস্ত্রে কথিত হইয়া থাকেন। সুতরাং নিৰ্ব্বাণ অর্থে যে “অহং” নাশ নহে, ইহ। আশা করি বুঝিতে পারিয়াছেন। নিৰ্ব্বাণ অর্থে যদি স্বরূপ প্রতিষ্ঠা হয়, তবে নিবিয়া যাইবে কে ? পার্থিব সুখ-দুঃখ, পার্থিব অভিলাষ প্রভৃতি সকল প্রকার পার্থিব ভাবের বিলীন অবস্থাকেই নিৰ্ব্বাণ বলা যাইতে পারে। অদ্বৈত বাদিগণ “নিৰ্ব্বানস্তু মনোলয়ঃ” অর্থাৎ মনের লয়কেই নিৰ্ব্বাণ বলিয়া থাকেন। & ভগবান বুদ্ধদেব জরা, মরণ ও পীড়া জনিত ফুঃসহ দুঃখের হস্ত হইতে । নিস্তার পাওয়াকেই নিৰ্বাণ বঢ়াছেন। স্বতরাং নিৰ্বাণ শৰে সন্তা