পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RඑN” প্রেমিক-গুরু হরিশ্চন্দী, সৰ্ধপন্থী, চুহরপন্থী, আপাপন্থী, কুণ্ডাপন্থী, অনহদ্ধ পন্থী, অভ্যাগত, মাধবী, আচারী, অটলমাগাঁ, পলটুদালী, বুনিয়াদদাসী, সৎনামী, বীজমাগী প্রভূতি শাখা সম্প্রদায় আছে । ইহা ভিন্ন আরও যে কত সম্প্রদায় আছে কে তাহার ইয়ত্তা করিবে । প্রকৃতির অধোস্রোতে আজি হিন্দুসমাজ দুর্দশার চরম সীমায় উপনীত হইলেও এইসকল বিভিন্ন সম্প্রদায় হিন্দুধৰ্ম্মের বিজয়কেতন এক দিন সগবে ভারতের বক্ষে উড়াইয়াছিলেন । এরূপ ত্যাগ ও ত্যাগীর দৃষ্টান্ত ভারত ভিন্ন অন্ত কোথায়ও দৃষ্ট হয় না । র্তাহার একদিন সৰ্ব্বপ্রকার উন্নতির উচ্চমঞ্চে দাড়াইলেও কখনও কুকুর শৃগালাদির স্তায় ভোগ্যবস্তুতে ভুলিয়া থাকিতে পারেন নাই । এই সকল ত্যাগীসম্প্রদায় এক্ষণে তাহারই সাক্ষ্যপ্রদান করিতেছে । এইসকল বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত জনগণকেই সন্ন্যাসী বলা যাইতে পারে। তবে প্রধানতঃ র্তাহারা দুইশ্রেণীতে বিভক্ত ; এক বিবেকী— অপর ভক্ত । যাহারা আত্মানাত্মবিবেকদ্বারা আত্মস্বরূপ লাভের জন্তু গৃহস্থাশ্রম ত্যাগ করেন, তাহারা বিবেকা ;– আর র্যাহারা সচ্চিদানন্দবিগ্ৰহ লাভের জন্য ব্যাকুল হইয়া গৃহস্থাশ্রম পরিত্যাগ করেন, তাহাদিগকে ভক্ত-সন্ন্যাসী বলাযায়। তবে যে কোন ভাবে অনুপ্রাণিত হইয়া গৃহস্থাশ্রম পরিত্যাগ করা হউক না কেন, বৈরাগ্য যে তাহার মূল কারণ সন্দেহ নাই ; তাই সকলেই সন্ন্যাসী। পূৰ্ব্বের লোক একটা ছেলেকে সন্ন্যাসী করিতে পারিলে বংশের সহিত নিজকে ধন্ত জ্ঞান করিত । কিন্তু এখনকার লোক সন্ন্যাসী হইবে ভাবিয়া ছেলেকে সাধুর নিকট যাইতে দেয় না, পুত্রের নিয়মনিষ্ঠ কিম্বা নিরামিষ ভোজন অথবা সৎগ্রন্থাদি পাঠ পিতার অভিপ্রেত নহে। কারণ, তাহারা ভারতীয় শিক্ষায় বঞ্চিত, কাজেই সন্ন্যাসের মহোচ্চ গভীর তত্ত্ব বুঝিতে পারে না। নতুবা অধিকাংশ সন্ন্যাসীকে উন্মাৰ্গগামী দেখিয়া পুত্রকে তৎপথে যাইতে দিতে আশঙ্কা