পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२¢२ প্রেমিক-গুরু পারিল না। শঙ্করাচার্য্যের আবির্ভাবের পূৰ্ব্বে ভারতের অবস্থা কিরূপ ছিল, সে ঐতিহাসিক সত্যও বুঝি তাহারা জানিত না ; জানিলে নিল্লজের স্তায় এ কাহিনী রচনা সম্ভবপর হইত না । তখন যে বেদ ও বেদ প্রতিপাদিত ভগবানের কথা ভুলিয়া নাস্তিকতা ও জড়ত্বের দানবী নিঃশ্বাসে ভারত অধঃপাতে গিয়াছিল তবে “লোক উদ্ধার হইয়া গেল” বলিয়া ভগবানের মাথা ব্যথা হইবে কেন ? বরং শঙ্করাচাৰ্য্য আবিভূত হইয়া সেই নাস্তিকতা ও জড়ত্বের পরিবর্তে ভারতের পূৰ্ব্বগৌরব পুনরুদ্দীপ্ত করিয়া দেন। তাই আজ কৃতজ্ঞতায় অনুপ্রাণিত হইয়া বুঝি এই সকল কাহিনী প্রচারিত হইতেছে ; নতুবা এত বড় একটা অধঃপতিত জাতিকে অন্ত দেশের লোক সহজে চিনিতে পারিবে কিরূপে ? বঙ্গদেশে কখনই ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মের গৌরব ছিল না ; তাই আদিশূর কান্তকুজ হইতে পাচজন বৈদিকত্ৰাহ্মণ আনয়ন । পূৰ্ব্বক এতদ্দেশে স্থাপন করেন। বঙ্গদেশের বর্তমান ব্রাহ্মণগুণ র্তাহাদিগেরই বংশধর । কালে তাহারা স্থানীয় ভ্রষ্টাচারী তান্ত্রিক ব্রাহ্মণগণের সঙ্গে বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন পূর্বক তাহাদের সহিত মিলিয়া-মিশিয়া বৈদিক-ধৰ্ম্ম হইতে চু্যত হইয়া ভ্ৰষ্টাচারী হইয়া গেল। তাই এতদ্দেশে বৃক্ষ ছাড়িয়া পরগাছার আদর হইয়া থাকে,—তাই বেদানুমোদিত ঋষি প্রণীত স্মৃতির স্থলে রঘুনন্দনের ব্যবস্থা, পাণিনির স্থলে মুগ্ধবোধ-কলাপ, আয়ুৰ্ব্বেদের স্থলে বৈদ্যশাস্ত্র, আতপের স্থলে সিদ্ধ, সংযমের স্থলে স্বেচ্ছাচার অধিকার করিয়াছে । বাঙ্গালার পণ্ডিতগণ ভারতীয় দর্শনশাস্ত্রের মধ্যে দ্যায়দর্শনের শুষ্ক তর্কের রসাস্বাদে নৃত্য করিয়া থাকেন। অম্মদেশে কখনই বেদবেদাস্তের আলোচনা হয় নাই। দুই এক জন পণ্ডিত বেদাস্ত শাস্ত্র পাঠ করিলেও অম্বয়, শব্দার্থ ব্যতীত, “জয়তে জ্ঞানমুত্তমং” দিব্যজ্ঞান লাভ করিয়া কৃতকৃতাৰ্থ হইতে পারেন নাই ; সগুণ নিগুণের বিদ্যালয়ের বালকোচিত অর্থ করিয়া অনর্থ উৎপাদন করিতেছেন। বিশ্ববিষ্ঠালয়ের