পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মুক্তি ኟ® আচাৰ্য্য হন, কিন্তু সন্ন্যাসিগণ সৰ্ব্বসম্প্রদায়ভুক্ত জনগণের আচাৰ্য্যরূপে সেবিত ও পূজিত হইয়া আসিতেছেন। বর্তমানে ত্রৈলিঙ্গস্বামী, ভাস্করানন্দ স্বামী, বিশুদ্ধানন্দ স্বামী, রামকৃষ্ণপরমহংস প্রভৃতি সন্ন্যাসী-মহাপুরুষগণ অপেক্ষ কোন সম্প্রদায়ভুক্তব্যক্তি সাধারণের হৃদয়ের এমন শ্রদ্ধাভক্তি আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইয়াছেন ? চারিট প্রধান মঠের অধ্যক্ষ বা মহাস্তগণ শঙ্করাচার্য্য নামেই অভিহিত হইয়া থাকেন । স্ত্রী-পুত্রাদি আশ্রিত পরিবারবর্গকে পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক গৃহ হইতে পলায়ন করার নাম সন্ন্যাস নহে। গৈরিকবসন পরিধান, দণ্ডকমণ্ডলু ধারণ ও মস্তক মুণ্ডন করিলেই সন্ন্যাসী হওয়া যায় না। মহাত্মা কবীর বলিতেন ;— মুড় মুড়ায়ে জটা রাখয়ে মস্ত ফিরে য্যায়স ভৈাষা। খলরি উপর খাখ লাগায়ে মন যায়সা তো ত্যায়সা । অর্থাৎ - মস্তক মুণ্ডল করিলে কি হইবে, জটা রাখিলেই বা কি হইবে, আর গাত্রোপরি ভস্মলেপন করিলেই বা কি হইবে ?– মনোজয়পুৰ্ব্বক তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিতে না পারিলে এই সকল বেশ-ভূষা কি কাৰ্য্যকারক ? যাহার আত্মাহুভূতি নাই, মনস্থিরতা নাই, ভগবভক্তিরসের উচ্ছাস নাই, সে রদিন বসন পরিয়া, কেীপীন ও কমুণ্ডলু ধারণপূর্বক জটাজুট বাঁড়াইয়া,