পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেমিক-গুরু ٹیbواج করে, তাহারা সমধিক ভ্রান্ত । জ্ঞানপথেও কৰ্ম্ম, জ্ঞান ও ভক্তির সম্মিলনে যাইতে হয় এবং ভক্তিপথেও কৰ্ম্ম, জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয়ে গমন করিতে হয় । সুতরাং উভয় পথেই গমনের উপায় একই প্রকার, কিন্তু পথের বিভিন্নতা আছে । জ্ঞানমার্গের নাম বিশ্লেষণ-পথ আর ভক্তিমার্গের নাম ংশ্লেষণ-পথ। কাৰ্য্য ধরিয়া কারণে ৰাওয়ার নাম বিশ্লেষণ বিচার, আর কারণ লাভ করিয়া কার্য্য-রহস্য অবগত হওয়ার নাম সংশ্লেষণ বিচার। যাহারা জড়জগৎ ধরিয়া “নেতি” “নেতি” করিতে করিতে স্থল স্বল্প অতিক্রম পূৰ্ব্বক ব্ৰহ্মানন্দে বিশ্রাম লাভ করেন, তাহারাই জ্ঞানমাৰ্গ, আর র্যাহারা ব্ৰহ্মকে জ্ঞাত হইয়া এই জীব-জগৎ তাহারই বিকাশ মনে করতঃ লীলানন্দে বিশ্রাম লাভ করেন, তাহারাই ভক্তিমাগী । ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্য আবিভূত হইয় সচ্চিদানন্দ ভগবানের যে স্বরূপলক্ষণ সাধারণের নিকট ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন, তাহার উদার গৰ্ত্তে সৰ্ব্বাধীকারী জনগণ বিশ্ৰাম লাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছে। মানব এক নূতন চক্ষু লাভ করিয়া জড়-জগতের স্বস্থল যবনিকার অন্তরালে দৃষ্টি করতঃ মরজগতে অমরত্ব লাভে ধন্ত হইয়াছে। কিন্তু আচাৰ্য্যদেব যে উপায়ে ব্ৰহ্মস্বরূপ লাভ করিবার পন্থা প্রকটিত করিয়াছেন, তাহা বিশ্লেষণ পথ— জ্ঞানমার্গ। আর ভগবান গৌরাঙ্গদেব তাহ লাভ করিবার যে উপার প্রচার করিয়াছেন,তাহা সংশ্লেষণ পথ-ভক্তিমাৰ্গ । তাই শঙ্করাচাৰ্য্য জ্ঞানবতার এবং গৌরাঙ্গদেব ভক্তাবতার নামে অভিহিত হন। জ্ঞানী বা ভক্তকে জ্ঞানমার্গের বা ভক্তিমার্গের লোক বলে না । জ্ঞানমার্গেও ভক্ত ও জ্ঞানী এবং ভক্তিমার্গেও জ্ঞানী ও ভক্ত এই উভয় শ্রেণীর লোক বিদ্যমান রহিয়াছে। কিন্তু অল্পবুদ্ধিবিশিষ্ট এবং সাম্প্রদায়িক গোড়ী ব্যক্তি সকল এ অধ্যাত্ম-সত্য অবগত না হইয়া স্ব স্ব নিদ্বেষ বুদ্ধি বশতঃ চালিত হইয়া অনর্থক কোলাহল করিয়া থাকে। জ্ঞানপথ বড় কি ভক্তি