পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মুক্তি ՀԳՖ গৌরাঙ্গদেবকে "শচী পিসির বেটা” মনে করিয়া মুন্সিয়ান চালে নাসিকাট কুঞ্চিত করিয়া থাকে। অথচ পাশ্চাত্য জগতের প্রধান পণ্ডিত মোক্ষমুলার বলিয়াছেন, “যে দেশে গৌরাঙ্গের স্তায় মহাপুরুষের জন্ম হইছিল, সে দেশ এবং সে জাতি কখন হীন নহে, তাহা হইলে তাহাদিগের দেশে এমন মহাপুরুষের জন্ম হইত না,” র্যাহার আবির্ভাবে পতিত দেশের ও পতিত জাতির কলঙ্ক ঘুচিয়া গৌরব প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, তাহাকে হৃদয়ের ভক্তি-শ্রদ্ধা অর্পণ করিলে ম্লেচ্ছ-দাসত্ব-উপজীবী-জীবের ঘৃণ্য-জীবনের উপায় হইবে কি ? এমন দিন কবে হইবে, যে দিন দেখিব প্রত্যেক বাঙ্গালী ভক্তি-বিনম্র হৃদয়ে গৌরাঙ্গ-পদে প্রাণের প্ৰেম-পুষ্পাঞ্জলী প্রদান করিতেছে । গৌরাঙ্গদেব যে আমাদের জাতীয় সম্পত্তি, ঘরের ধন । বাঙ্গালী ন! যতদিন গৌরাঙ্গদেবের আদর শিখিতেছে, ততদিন তাঁহাদের জাতীয় উন্নতি সুদূর পরাহত । ওরে আজিও যে পাচশতবৎসর হয় নাই, এখনও বাঙ্গালার অনেক পল্লীর ধূলীতে র্তাহার পদধূলি মিশ্রিত রহিয়াছে ;– বাঙ্গালার রজে লুটাইলেও তাহার করুণা প্রাপ্ত হইতে পারিবে । ভগবানেরই অবতার হইয়া থাকে, সুতরাং অবতারমাত্রেই মূলতঃ এক ৷ এক অবতার অন্ত অবতারের মত বিনষ্ট করিয়া নিজমত প্রতিষ্ঠা করেন, ইহা ভ্রাস্ত-ধারণা। আমরা জানি এক অবতার কর্তৃক অন্ত অবতারের মত পরিণতি ও পরিপুষ্টি লাভ করিয়া থাকে। তবে সমাজের সংস্কার নষ্ট করিবার জন্য পরবত্তী অবতার পূর্ববৰ্ত্তী অবতারের মত গুলির নিন্দ করিয়া নূতন সংস্কারে সংস্কৃত করিয়া দেন। তাই বুদ্ধদেবকে কামনামূলক কৰ্ম্মের অসারত প্রতিপন্ন করিতে সময়ে সময়ে বেদের নিন্দ করিতে হইয়াছে। আবার ভগবান শঙ্করাচার্য্যের তিরোধানের বহুপর যখন হিন্দুসমাজ কেবল জ্ঞানের শুষ্ক কথায় ভরিয়া গেল,—আত্মসমাধি, আত্মজ্ঞানের পরিবর্তে কেবল বিরাট তুর্কজাল বিস্তার করিয়া মুখে ব্ৰহ্মবৎ