পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চভাবের সাধনা ——:(*): ভাবনাবিষয়ে অনন্যবুদ্ধি হইয়া ভক্তগণ হৃদয়মধ্যে দৃঢসংস্কার দ্বারা র্যাহাকে ভাবনা করেন, তাহার নাম ভাব । সুতরাং ভাব বলিলে ভগবানকেই বুঝাইয়া থাকে ; তাই সাধারণের মধ্যে প্রচলিত আছে যে, “ভাবরূপী জনাৰ্দ্দন ।” সুতরাং ভগবান কে লাভ করিতে হইলে সেই ভাবেরই আশ্রয় গ্রহণ করা কৰ্ত্তব্য । এই ভাব পাচ প্রকার ; যথা— শাস্তু, দাস্ত, সখা, বাৎসল্য ও মধুর। শাস্তাদি পাচটা ভাব প্রধানীভূত ভক্তির এবং দাস্তাদি চারিটা ভাব কেবল ভক্তির অন্তর্গত। ভক্তগণের ভেদবশতঃ ভাব এই পাচ প্রকারে বিভক্ত হইয়া থাকে। এই পাঁচটা ভাব পর পর শ্রেষ্ঠ । কেননা যেরূপ আকাশাদি পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব ভূতের গুণ পর পর ভূতে পৰ্য্যবসিত হয় ; তদ্রুপ দাস্তে শাস্ত ; সথ্যে-শাস্ত ও দাস্ত ; বাৎসল্যে-শান্ত, দাস্ত ও সখ্য ; মধুরে—শাস্ত, দাস্ত, সখ্য ও বাৎসল্য এই চারিটা ভাবই বর্তমান আছে । যথা :– গুণাধিক্যে স্বাদাধিক্য বাড়ে প্রতি রসে । শান্ত দাস্য সখ্য বাৎসল্যের গুণ মধুরেতে বৈসে ॥ আকাশাদির গুণ যেমন পর পর ভূতে । দুই তিন ক্রমে বাড়ে পঞ্চ পৃথিবীতে ॥ —শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত । এই পঞ্চবিধ ভাবের ভিন্ন ভিন্ন স্থায়ী ভাব আছে। দাস্তে শাস্তির স্থায়ী ভাব, সংখ্যে দাস্তের স্থায়ী ভাব, বাৎসল্যে সখ্যের স্থায়ী ভাব এবং মধুরে ভাবচতুষ্টয়ই পৰ্য্যবসিত হইয়াছে। কিন্তু ইহার একটা কথা আছে । আকাশাদি ভূত পর পর ভূতে অমুস্থত হইয়া পৰ্কীকরণরূপে