পাতা:প্রেমের জয় - চরণ চক্রবর্ত্তী.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s ] সচরাচর ধৰ্ম্মশাস্ত্র সকলে যে সমস্ত অলৌকিক ক্রিয়ার কথা শুনা যায়, তাহা অপেক্ষা উনবিংশতাব্দীর এই ঘটনাট কি কম আশ্চর্য্য ! বৰ্ত্তমান যুগে জন্মগ্রহণ করিয়া এত অল্প সময়ের মধ্যে, আর কোনও ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ই মানবসমাজের কল্যাণসাধনের জন্য এরূপ অদ্ভূত আয়োজন করিতে সক্ষম হন নাই । চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রই জানেন উনবিংশ শতাব্দীর গতি কোনদিকে ? ভোগসুখের দিকেই মানলের সমস্ত চেষ্ট । দৈহিক সুখ লাভ করিতে পারিলেই জীবন কৃতার্থ হইল বলিয়া মানুষ মনে করে । দৈহিক সুথের উপরে আর যে কোন ও প্রকার শ্রেষ্ঠতর সুখ আছে, ইন্দ্রিয়-চরিতার্থতার উপরে আর যে কোন অতীন্দ্রিয় নিত্য সুখ সম্ভব, উনবিংশ শতাব্দীর পৌনে ষোল আন লোকেই তাহ বিশ্বাস করিতে প্রস্তুত নয় । ঘটনার স্রোতেই মানুষ ভাসমান, ঘটনার নিয়ন্ত আধ্যাত্মিক শক্তিকে মানুষ চিনিতে পারে না, চিনিবার জন্য ব্যস্ত ও নয় । মহাত্মা বুথ, বৰ্ত্তমান মানব সমাজের এই গতি ফিরাইয়াছেন—নাস্তিকতা ও স্বার্থপরতার কঠিন পাষাণ গলাইয়া বিশ্বাস ও প্রেমের স্রোত বহাইয়াছেন। . যে মহৎভাবে প্রণোদিত হইয়া মহাত্মা বুথ, এই মহৎ কার্য্যে হাত দিয়াছেন, তাহার দোষ গুণ বিচার করা এপ্রস্তাবের