পাতা:প্রেম বিলাস - নিত্যানন্দ দাস.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

twR কোন দেশে থাক বাপু কহ সমাচার । উদাসীন হও কেবা আছয়ে তোমার ॥ পৃথিবীতে কেহো নাহি হই জন্ম দুঃখী । । চরণ দর্শন করি হইয়াছি সুখী ৷৷ অপুর্ব বালক দেখি সুখ বড় পাইল । পুজারী সেবাতে থাকি আপনে কহিল৷ ইহঁারে। প্ৰসাদ দিবে স্বচ্ছন্দ করিয়া । সেবা কল্প বাপু এই স্থানেতে রহিয়া ॥ দিবসে দিবসে সেবা অধিক বাঢ়িল ৷ ” দেখিয়া সভার চিত্তে সুখ বড় হৈল ৷ ঠাকুর করুণা করেন বাঢ়ে দিনে দিনে । কাৰ্য বড় করে দয়া হৈল সবাৰু মনে ॥ একদিন ঠাকুর নাটমন্দিরেতে বসি । সেবা দেখি বালকেরে কহে হাসি হাসি ৷ শুন বাছা একা তুমি কেহো নাহি আর । প্ৰভু আছেন সংসারে সত্য চরণ তোমার৷ কাহার সেবক হও কোন পরিবার । এ দুই চরণ সত্য করিয়াছি সার ৷ কেহো নাহি সংসারে প্রভু মুঞি অতি ौन। | কহিবার যোগ্য নাহি তাহে ভক্তিহীন ৷ ] প্ৰেম-বিলাস । তোমা বিনু পতিত পাবন কেবা হয়। কৃপা করি দেহ। অভয় চরণ আশ্ৰয় ॥ জানিল সেবক হব এই ইহা মনে । সেই দিন হৈতে অতি করিলা যতনে। একদিন ঠাকুর বসিয়া এক স্থানে। যোড়হন্ত করি আগে করে নিবেদনে ॥ ভু দীনহীন তারণ তোমার অবতার। আমা হেন পতিত কেহাে সংসারে নাহি । VR 8 { चांगा बिांग রূপ নিরাখিয়া কালেদ , কেহো নাহি মোর। জীবনে মরণে গতি চরণ দুই তোর ॥ কৃপা হৈল প্রভুর, ডাকলা সন্নিধানে । মস্তকে ধরিয়া হরিনাম দিলা কানে ৷ অনেক প্ৰণাম করে নিরথে বদন । ডাকিয়া মস্তকে তুলি দিলেন চরণ ॥ সেই হৈতে নিজ সেবা করিতে আজ্ঞা হৈল। দিনে দিনে চেষ্টা প্ৰাতি বাঢ়িতে লাগিল ৷ বৈষ্ণবে সাবধান অতি কৃষ্ণনামে রতি । প্ৰভুরে দেখিলে যোড়হাতে করে স্তুতি ॥ আজ্ঞা হৈল ওহে বাপু স্নান কর যাঞো | সেইক্ষণে গঙ্গাতীরে সবে যান ধাঞা ॥ করিলেন গঙ্গাস্নান আসি সন্নিধানে । দেখিয়া ঠাকুর বোলে বৈস এই স্থানে ॥ কৃষ্ণমন্ত্র কৃপা কৈল হাতে হাত ধরি। শতবার জপিবা মন্ত্র কৃষ্ণ ধ্যান করি ৷ ভজনের যেই রীতি কহিল সকল । অশ্রু নয়নে বহে পুলক অবিরল ৷ পুনঃ পুনঃ দণ্ডবৎ করয়ে প্ৰণাম । সত্য কৃষ্ণ পদযুগ সত্য কৃষ্ণনাম ॥ আজি হৈতে তোমার নাম দুঃখিনী কৃষ্ণ Wr II সেবা কর মোর এই স্থানে করি বাস ৷ সেই দিন হৈতে কৃষ্ণনামে অনুরাগী । নিভৃতে বসি কৃষ্ণনাম লয় রাত্ৰি জাগি ৷ ক্ষুধা তৃষ্ণা বাদ হৈল প্রেমামুত পান। “যার সাধনের কথা বৈষ্ণৰে করে গান ৷ শ্ৰদ্ধা বলবতী দেখি ঠাকুর আপনে । কহি কিছু বৈস বাপু মোর সন্নিধানে ॥ "