পাতা:প্রেম বিলাস - নিত্যানন্দ দাস.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R শুঠামানন্দ যজ্ঞোপবীত করিয়া গোপন । তেজ ঢাকি আরম্ভিলা নাম সঙ্কীৰ্ত্তন ॥ অদ্বৈতপ্রভুর আবেশ এই মহাশয়। নানারূপে প্ৰেমভক্তি লোকে বিতরীয় ৷ ঐছে কত করি যত পাষণ্ডীর গণে । উদ্ধারিয়া প্ৰেমভক্তি কৈলা বিতরণে ॥ শুষ্ঠামানন্দের ভজনের নাহিক উপমা । কনকমঞ্জরী তার হয় সিদ্ধ নােম ৷ শুষ্ঠামানন্দের চরিত বহু মুঞি কিবা জানি । তবে যে লিখি নু কিছু গুরু-আজ্ঞা মানি ৷ শুন শুন শ্রোতাগণ হৈয়া সাবধান । এবে যে কহিয়ে তাহ করা অবধান ৷ (কাটোয়া আর খণ্ডে যে হৈল মহোৎসব । পাছে না বর্ণিনু এবে বর্ণিব মুঞি সব ৷ বর্ণনা করিতে ঠাকুরাণী আজ্ঞা কৈলা । গুরু আজ্ঞা বলবতী হৃদয়ে ধরিলা ৷ বিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুরাণীর শুনি আদর্শন। ভক্তগণের যত খেদ না যায় কহন৷) এথা দাস গদাধর সরকার নরহরি । কত খেদ কৈলা দোহে কহিতে না পারি ৷ ক্রমে অতি ক্ষীণ হৈলা দাস গদাধর। অল্পদিন মধ্যে হৈলা পৃথির অগোচর ৷ কাৰ্ত্তিকের কৃষ্ণাষ্টমী দিনে গুপ্ত হৈলা । যদুনন্দন আদি ভক্ত খেদ বহু কৈলা ৷ দাস গদাধর প্রভুর শুনি সঙ্গোপন । সরকার নরহরি বহু কৈলা বিলোপন ৷ রঘুনন্দন সুলোচন যত ভক্ত ছিল। সবাকার নেত্ৰজলে অবনী তিতিলা ॥ এইরূপে নরহরি শোকেতে কাতর। এক দিন হৈলা সবার নেত্র অগোচর "g প্ৰেম-বিলাস । [ উনবিংশ বিলাস। অগ্রহায়ণের কৃষ্ণা একাদশী দিনে । সঙ্গোপন দেখি সবে করয়ে ক্ৰনদনে ৷ রঘুনন্দন সুলোচন যত কৈলা খেদ । বণিতে নারিল আমি তাহার কতেক ৷ প্ৰভু ইচ্ছা মতে রঘুনন্দন হৈলা সুস্থ। কাটোয়া যাইতে তবে করিলা মনস্থ। লোচন লইয়া সঙ্গে শ্ৰীরঘুনন্দন। কাটোয়া নগরে গিয়া উপস্থিত হন ৷ শ্ৰীযদুনন্দন চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় । দাস গদাধরের শিষ্য প্ৰিয় অতিশয় ॥ র্তার স্থানে চলিলেন শ্ৰীরঘুনন্দন। শ্ৰীগৌরাঙ্গ দেখি অতি আনন্দিত মন ৷ বহুবার করিলেন। সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম । যদুনন্দনের স্থানে করিলা পয়ান ৷ কোলাকোলি করি দোহে দণ্ড প্ৰণমিলা । আদর্শনের কথা কৈয়া বহুত কান্দিল ৷ প্ৰভু ইচ্ছামতে দোহে সুস্থির হইয়া । মহোৎসবের দিন ধাৰ্য্য করিলা বসিয়া ৷ এথা মহোৎসবের সর্ব আয়োজন করি । খণ্ডে গেলা রঘুনন্দন প্ৰভু পদ স্মরি। তথি শ্ৰীমহোৎসবের আয়োজন হৈল। সর্বত্র নিমন্ত্রণ পত্র প্রেরণ করিল ৷ দাস গদাধর। আর ঠাকুর নরহরি। দোহার অন্ত্যেষ্টি মহোৎসব হবে ভারি ॥ দুই নিমন্ত্রণ পাইলা সকল মহন্ত । কাটোয়া নগরে চলে আনন্দ একান্ত ৷ দিন কথো পুর্বে রঘুনন্দন আনন্দিত হৈয়া । লোচনাদি সঙ্গে করি আইলা কঁটোয় ৷ রঘুনন্দন আসি কাজে নিযুক্ত হইলা । সকল কাজের বিশেষ শৃঙ্খলা করিলা ।