পাতা:প্রেম বিলাস - নিত্যানন্দ দাস.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२8 প্ৰেম-বিলাসী। [ बायांवि९५ दियiन। পথশ্ৰান্ত হইয়া গোসাঞি সনাতন । রূপ সনাতন যবে বৃন্দাবনে গেল। এক বৃক্ষ মূলে করিলা শয়ন ॥ মদনমোহন আসি স্বপনে কহিল। মাথে, পার্থে, হস্ততলে, আর পদতলে । ওহে সনাতন চৌবের বাড়ী আছি। আমি | মৃৎখণ্ডে উপাধান শয়ন ভূতলে ৷ আমারে আনিয়া যত্নে সেবা কর তুমি ৷ (ইহা দেখি এক বৃদ্ধ কহে হাসি হাসি। ভিক্ষাচ্ছলে চৌবের বাড়ী যায় সনাতন । বড় মানুষের ছেলে হঞাছে দরবেশী ৷ চৌবে পুত্রভাবে সেবে মদনমোহন ৷ বিষয় ত্যজিয়া কৈল ভূতলে শয়ন। চৌবে তার পত্নীর বাৎসল্যের কথা । মাটী দ্বারা পূর্ব সংস্কার করে প্রকটন। এক মুখে বৰ্ণিতে না পারিয়ে সৰ্ব্বথা ।) সনাতন উঠি বাট প্ৰণামে বৃদ্ধিারে। ভাব দেখি সনাতন আশ্চৰ্য্য মানিল । তুমি মাগো গুরু উপদেশ দিলা মোরে ৷ (নন্দ যশোদা বলি মনেতে করিল। এত কহি সনাতন তথি হৈতে গেলা । সনাতনে দেখি কহে মদনমোহন। চৈতন্য কৃপায় বিষয়ের মূল নষ্ট হৈলা ৷ আমায় নিয়ে চল তুমি যথা ইচ্ছা মন ॥ প্ৰয়াগে শ্ৰীৰূপে প্ৰভু শক্তি সঞ্চারিল। বারাণসী ধামে সনাতনেরে শিক্ষা দিলা ॥ চৌবে তার পত্নীরে কহে মদনমোহন । ঐছে রূপটিসনাতন চৈতন্য কৃপায়। পুত্র বাৎসল্যেতে মোরে করিলা পালন ৷ বিষয় ত্যাগ করি দুহে। বৃন্দাবনে যায়৷ শুন মাতা পিতা আমি কহি এক কথা । কৃষ্ণদাস কবিরাজ বিস্তার বর্ণিল। গোলোকে হইবে বাস না হবে অন্যথা ৷ যাহা অবশেষ আমি হেথায় লিখিল ৷ সনাতন সঙ্গে আমি করিব গমন । কৃষ্ণদাস কবিরাজ যাহা না লিখিল। তোমরা কিছু দুঃখ না ভাবিহ মন ৷ বৈষ্ণবের মুখে শুনি বর্ণনা করিল। শুনি দুহে উচ্চস্বরে কান্দিতে লাগিল। শুন শুন শ্রোতাগণ হঞো এক মন। সুমধুর বাক্যে দুহে সাত্মনা করিল リ এবে কহি মদন গোপাল প্ৰকটন। চৌবে প্ৰণমিয়া গোসাঞি সনাতন । দোমোদর চৌবে তার পত্নী শ্ৰীবল্লভা । মদনমোহনে নিলা নিজ নিকেতন ॥ ভক্তি ভাবে করে মদন গোপালের সেবা ॥ মদনমোহনের সেবা প্ৰকাশ করিলা । , মদন গোপালে ডাকে মদনমোহন। দেখি ব্ৰজবাসিগণ আনন্দিত হৈলা পুত্র বাৎসলোতে করে লালন পালন৷ চৌবে পুত্রসহ ঠাকুর সখ্য ভাবে রয়। মদনমোহনের ইচ্ছা মন্দিরে থাকিতে । কন্তু মারামারি করি নালিশ করায় ৷ দৈবে মহাজনের নৌকা ঠেকিল চড়াতে ৷ একত্র খাওয়া দাওয়া একত্ৰ শয়ন। দুহে মিলি একত্র করয়ে ভ্ৰমণ ৷ মহাজন আসি তথি ভূমি লোটাইয়া। প্ৰণমিয়া কহিলেক যোড় হাত হােঞা |