পাতা:প্রেম বিলাস - নিত্যানন্দ দাস.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ বিলাস । ] দেশে গেলে কিবা হবে নাহিল দর্শন । দেহ বৃথা হৈল আশ্ৰয় নাহিল চরণ ॥ শ্ৰীনিবাস মরিলে আর কে আইসে দেখিতে। জন্মান্তরে আশা আছে চরণ পাইতে ॥ এ ধৰ্ম্ম আশ্রয় করি। কত কত লোক । সুখের সমুদ্রে ভাসে তেজি দুঃখ শোক ৷ সেই সব দুঃখ দিলেন। আমার উপরে। কি দিব প্ৰবোধ প্ৰাণ হইল জৰ্জরে ৷ প্ৰভু রূপ সনাতন শ্ৰীনিবাসের নাথ । তোমার রূপ নয়নে নাহি দেখি নু সাক্ষাৎ ৷ সেইরূপ ক্ষেতলে ভূমে পড়ি আছে। নিম্পন্দ হইল তনু শ্বাস মাত্র আছে ৷ দেখিলেন শ্ৰীনিবাসের রোদন চীৎকার । রূপ সনাতন আসি হৈলা সাক্ষাৎকার ॥ উঠ উঠ শ্ৰীনিবাস দেখি সন্নিধান । তুমি প্রভুর প্ৰেমমূৰ্ত্তি মোর হাও প্ৰাণ ৷ এতদিন তোমার পথ করি নিরীক্ষণ । প্রভুর বিরহে কিবা রহয়ে জীবন ৷ ফিরি কেন যাহ, বাপু যাহ বৃন্দাবন । মনোরথ সিদ্ধি হউক বাঞ্ছিত পূরণ ॥ শ্ৰীগোপাল ভট পদ করাহ আশ্রয় । সেই দ্বারে মোর কৃপা জানিহ নিশ্চয় ৷ শ্ৰীজীবে কহিল আমি তোমার প্রসঙ্গ । র্তার স্থানে পঢ়ি গ্ৰন্থ করা তার সঙ্গ ৷ নিদ্রা নাহি শ্ৰীনিবাস উঠিলা তখন। উঠি করে দণ্ডব্যুৎ প্ৰণাম স্তবনা ৷ উঠি নিরীক্ষয়ে রূপ নয়নের লোভা । দাণ্ডাইয়া দেখে দুই ভাইর অঙ্গশোভা ৷ (v0) প্ৰেম-বিলাস । গৌর। স্কুল কলেবর শিখা ক্ষীণ মাথে। তিলক কপালে কণ্ঠী শোভয়ে গলাতে ৷ (১) সর্বাঙ্গে লিখিত রাধাকৃষ্ণ দুই নাম । কৌপীন উপর বহিৰ্ব্বাস পরিধান ৷ হরিনাম লয় করে জিহবাতে উচ্চার। মধ্যে মধ্যে রাধাকৃষ্ণ নামের সঞ্চার | অঙ্গের সৌরভ। কিবা কুঙ্ক মাদিচয়। দন্তপঙক্তি শোভা কুন্দ মধুর হাসয় ॥ সব দুঃখ দূরে গেল সুখের সাগর। অতি মত্ত হৈল শ্ৰীনিবাসের অন্তর ॥ দেখি ভাবাবেশ চিত্ত পড়িলা অবনি । মাথায় চরণ দিলা তুলিয়া আপনি ৷ অন্তৰ্দ্ধান হৈলা দুহে গেলা নিজ স্থানে । বাহি্যু হৈল শ্ৰীনিবাস বিচারয়ে মনে ৷ আর কি করিব মন চল বৃন্দাবন । অনাথের নাথ প্ৰভু রূপ সনাতন ॥ শ্ৰীগোপালভট্ট প্ৰভু জীবন আমার। শ্ৰীজীবগোসাঞি করুন করুণ অপার ॥ ভাবাবেশে গর গর চলি যায় পথে । না জানিয়ে কিবা রাত্রি হইল প্ৰভাতে ৷ এথা রূপ সনাতন শ্ৰীজীবের স্থানে । শ্ৰীনিবাস আইলা আজ্ঞা করিলা আপনে ॥ সন্ধ্যাকালে গোবিন্দের আরতি সময় । আসিয়া দর্শন। তিহো করিব নিশ্চয় ৷ গোবিন্দের রূপ দেখি ভাবাবেশ হৈয় । উন্মাদে পড়িল দ্বারের বামদিকে যাঞো ৷ সেই কালে গোবিন্দের দর্শন করিব । দ্বারের দক্ষিণ বামে তীরে অন্বেযিবা ॥ (১) তিলক সুন্দর অতি শোভয়ে নাসাতে।