পাতা:প্রেম বিলাস - নিত্যানন্দ দাস.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VX প্ৰেম-বিলাস । [ ষষ্ঠ বিলাস। এইরূপে দুহেঁ রহে কৃষ্ণকথা রসে। তার বামে শ্ৰীীরাধিক অতি মনোহর । না জানিয়ে রাত্ৰি দিবা সদা প্ৰেমে ভাসে ৷ ললিতা মঞ্জরী আদি শোভিত সুন্দর ৷ ভাল দিন গণাইল করি শুভক্ষণ । পূজা করাইল সব পৃথক্ করিয়া । গোসাঞি সঙ্গে শ্ৰীনিবাস করিলা গমন ৷ তুলসীমঞ্জরী মাল্য চন্দনাদি দিয়া ৷ তুলসী মঞ্জরী মালা লইল চন্দন। সূথে মিলাইল সব হস্ত্রে হস্তে করি। শ্ৰীনিবাস হন্তে পাছে করিল গমন ৷ শ্ৰীনিবাসে করাইল সবার অনুচরী ॥ শ্ৰীগোপালভট্ট স্থানে গেলা দুই জন । শ্ৰী রাধারমণ পুজা কর পুনর্বার। শ্ৰীনিবাস প্ৰণাম করি বিনয় স্তবনা ৷ সব মনোরথ সিদ্ধি চরণে র্যাহার ॥ উঠ বাপু কহি শুন যেই বাক্য সার। সুগন্ধি চন্দন দিল ছেদয় উপর । শ্ৰীনিবাস শুনি বাক্য কহে পুনর্বারা ৷ তুলসী মঞ্জরী চরণে দিল বহুতর ৷ মহাপ্ৰভু জগদগুরু যে ধৰ্ম্ম আচার। শ্ৰীক্লাপের গ্রন্থে আছে সে সব বিচার ॥ উপদেশ কীৰ্ত্তা সেবকের জন্মে জন্মে হয় । অনুগত অনুগত ভাবের নিশ্চয় ॥ সেই কালে শ্ৰীজীব করয়ে নিবেদন । যেমন কতিলে তেমন করাহ গ্ৰহণ ৷ ভাল ভাল বলি গোসাঞি উঠিলা সত্বরে। শ্ৰীনিবাস সঙ্গে গেলা আনন্দ অন্তরে ৷ যে স্থানে বিহার করেন শ্ৰী রাধারমণ । র্তাহার দর্শনে দুহো করিলা গমন ৷ পাদপ্ৰক্ষালন করি। প্ৰণাম আচারে । পুন দণ্ডৱৎ করি গেলা শ্ৰীমন্দিরে ৷ সময় জানি শ্ৰীনিবাস করয়ে প্ৰণাম । আইস আইস শ্ৰীনিবাস মোর সন্নিধান ৷ গুরুর বামে বসিলেন হৈয়া পুৰ্বমুখে । শ্ৰীঅঙ্গ দর্শন করেন। আনন্দিত মুখে ॥ পদযুগ ধরি করে আত্ম সমৰ্পণ । আত্মসাৎ করি গোসাঞি কহিল বচন ৷ দুই হন্ত ধৌত পুন কর আর বার। যোড়হন্তে কর ধ্যান ব্ৰজেন্দ্ৰকুমার ॥ দক্ষিণ হস্ত মস্তকে ধরি কহে হরিনাম । তবে রাধাকৃষ্ণ পঞ্চনামের বিধান ৷ রাধাকৃষ্ণমন্ত্র কহে করযুগে ধরি। কামবীজ শুনাইল অঙ্গুলি অনুসারি ॥ এই সব মন্ত্র তুমি করিবে স্মরণ। যেই কালে তদাশ্ৰয়ে করিবে মনন ৷ গুণমঞ্জরিকাশ্রয়ে মণিমঞ্জরিকা তুমি । তোমার যুথের বিবরণ কহি সব আমি৷ রূপ গুণ রতি রস মণ্ডুলামঞ্জুল । এই সব সঙ্গে সঙ্গী এই অনুকুল ৷ সেবা রাগাত্মিক রাগ ভজনের মত । শ্ৰীশ্নরূপ গোসাঞির বাক্য আছয়ে সম্মত ॥ সেবা নাম সাধকের যত বড় আৰ্ত্তি । তাহা সিদ্ধ হৈলে হয় এই সব প্ৰাপ্তি ৷ সাধন করয়ে দেহ সাধক নাম হয় । সখীর আশ্রয় সিদ্ধি জানিহ নিশ্চয় ৷ চতুঃষষ্টি অঙ্গসাধন কহিল অনেক । আনুকুল্য প্ৰতিকুল্য বুঝিবে পরতেক ॥ প্ৰতিকুল্য যে হয় তারে করিব বর্জন । আনুকুল্য যেবা হয়। প্ৰাপ্তির কারণ ॥