পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cडांशाठिवांस うな● এই সকল কারণে ফিরিঙ্গির নাম ভারতবর্ষের সকল স্থানেই বিভীষিকার আধার হইয়া উঠিতে লাগিল । লোকে ফিরিঙ্গির নামে এখনও যে সকল কাহিনীর আলোচনা করিয়া থাকে, তাহা সম্যক লিপিবদ্ধ করিবার উপায় নাই। স্বদেশ হইতে বহুসহস্ৰ যোজন দুরে আসিয়া, আশাতীত অসীম ঐশ্বৰ্য্যের সন্ধান লাভ করিবামাত্র. এইরূপে ফিরিঙ্গি-বণিকের অধঃপতনের সূত্ৰপাত হইল । ভারতবর্ষে ফিরিঙ্গি-সেনার সংখ্যা কখনই অধিক ছিল না । অধিক সেনাবলের প্রয়োজন অনুভূত হইবামাত্র, ফিরিঙ্গি-বণিক্‌ ভারতবর্ষের অধিবাসিগণকে সেনাদলে গ্ৰহণ করিয়া, শিক্ষাদান করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । ইহারাই জালে-স্থলে ফিরিঙ্গি-বণিকের বাণিজ্যের এবং বিজয়গৌরবের প্রধান রক্ষক হইয়া উঠিয়াছিল। ফিরিঙ্গির সংসারে ক্রীতদাসের প্রাধান্য ছিল । তঁাহারা ভারতবর্ষে আসিয়াও বহুসংখ্যক ক্রীতদাস প্ৰতিপালিত করিতেন । এই সকল ক্রীতদাসের মধ্যে অনেকে গৃহকাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিল, কেহ কেহ সেনাদলেও প্ৰবেশ লাভ করিয়াছিল । তাহদের হস্তে রােজ্যরক্ষার ভার ন্যাস্ত করিয়া, ফিরিঙ্গি-বণিক যখন আলস্যে ও বিলাসে অভিভূত হইয়া, নবাবী করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন, ঠিক সেই সময়ে ইউরোপের ইতিহাসে এক যুগান্তরের সূত্ৰপাত হইল । ইউরোপ ধীরে ধীরে জাগিয়া উঠিতেছিল। সে জাগরণের মূলে ভারতবর্ষের প্রভাবই প্ৰচ্ছন্নভাবে বৰ্ত্তমান ছিল। ভারত-বাণিজ্যে আধিপত্য লাভ সেকালের ইউরোপের পক্ষে ঐশ্বৰ্য্যলাভের একমাত্র পথ বলিয়া পরিচিত হইয়া উঠিয়াছিল। সেই পথে ধাবিত হইবার জন্য সকল জাতিই সমানভাবে লালায়িত হইয়া উঠিয়াছিল। পর্তুগালরাজ ভারত-বাণিজ্যের জলপথ অধিকার করিয়া ভারতসাগরে প্রাধান্য লাভ করিলেও, কেবল বাহুবলে সে প্ৰাধান্য দীর্ঘকাল