পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so किट्रिन्नेि বণিক ভবিষ্যতের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হইবে, পর্তুগালের অশিক্ষিত জনসমাজ তাহা বিশ্বাস করিতে পারিল না । তাহারা ইমানু্যায়েলের বাতুলতার কথাই চিন্তা করিতে লাগিল ! এইরূপে ইমানুJয়েলের রাজত্বের প্রথম বৎসর অতিবাহিত হইয়া গেল । আফ্রিকা অতিক্ৰম করিয়া, ভারত-বাণিজ্যের জলপথের আবিষ্কারসাধনের অধিকার একমাত্র পর্তুগালের উপরেই অপিত হইয়াছিল। তখনও পোপের শাসন লঙ্ঘন করিয়া, অন্য কোনও খৃষ্টান সমাজের পক্ষে আফ্রিকার পথে ভারত-যাত্রায় প্ৰবৃত্ত হইবার সম্ভাবনা ছিল না । তাহারা আটলাণ্টিক অতিক্ৰম করিয়া, পৃথক পথের আবিষ্কার সাধনের জন্য লালায়িত হইয়া উঠিয়া ছিল । কলম্বস তাহার পথ প্ৰদৰ্শন করায়, ইংলও সেই পথে ভারত-যাত্ৰা করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠিল । ১৪৯৭ খৃষ্টাব্দের মে মাসে অষ্টাদশ নাবিক সমভিবাহারে ইংলণ্ডের ইতিহাসবিখ্যাত নাবিক রাজ জন ক্যাবট সেই পথে ভারতবর্ষের সন্ধানে বহির্গত হইলেন । * আধুনিক ইতিহাসলেখকগণ পর্তুগালের জনসমাজকেই ভারতযাত্রার প্রধান উত্তর-সাধক বলিয়া বৰ্ণনা করিয়া থাকেন। পর্তুগালের মহাকাব্য “লুসিয়াদ” পাঠ করিলে, তাহাতে আস্থাস্থাপন করা যায় না । “লুসিয়াদা” কাব্য হইলেও, সেকালের জনসমাজের চিত্তবৃত্তির আকৃত্ৰিম ইতিহাস। তাহাতে দেখিতে পাওয়া যায়,-পর্তুগালের জনসমাজ যেন উৰ্দ্ধবাহু হইয়া ইমানু্যায়েলকে অভিশাপ দান করিয়াছিল !

  • মালাবার প্রদেশের সেণ্ট টমাস সম্প্রদায়ভুক্ত খৃষ্টান সমাজের কথা ইংল্যাণ্ডে অপরিজ্ঞাত ছিল না। ৮৩৩ খৃষ্টাব্দে ইংল্যাণ্ডেশ্বর অলফ্রেড সেন্ট টমাসের সমাধিমন্দিরে উপঢৌকন দ্রব্য প্রেরণ করিবার জন্য এক রাজদূত প্রেরণ করিয়াছিলেন। জন ক্যাবট যখন পশ্চিম সমুদ্রপথে ভারতযাত্রা করেন, তখন “নিউ ফাউণ্ডল্যাণ্ড” আবিষ্কৃত হয় ;-ক্যাবট ভারতবর্ষ পৰ্য্যন্ত অগ্রসর হইতে পারেন নাই ।