পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১8১

জানালা খুলিয়া দেখিবা মাত্র উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিল, হে পরমেশ্বর! আমার ছেল্যাকে শয়তানের হস্তহইতে উদ্ধার কর।

 এই স্ত্রীপুরুষের মনের অস্থিরতা দেখিয়া আমি অতিশয় ভীতা হইলাম, এবং কি হইয়াছে, ইহা জ্ঞাত হইবার জন্যে শীঘ্র বাহিরে গেলাম। পরে দেখিলাম যে সাধু ও সত্যবতী গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে, এবং করুণার পুত্ত্র বংশী তাহাদের সঙ্গে২ চলিয়া কএক পয়সা ঊর্দ্ধ্বে ফেলিয়া লুফিতেছে, তাহাতে সাধু ঐ পয়সা ধরিবার জন্যে যত্ন করিতেছে। প্রেমচাঁদ দৌড়িয়া তাহাদের নিকটে গেল, এবং বেত দিয়া সাধুকে দুই তিন ঘা মারিল, পরে তাহার হাত ধরিয়া টানিয়া ঘরে আনিল।

 সাধু বলিতে লাগিল, বাবা, বিরক্ত হইও না২! আমি সত্য বলিতেছি ইহাতে আমার কোন দোষ নাই। তাহার পিতা গভীর স্বরে কহিল, চুপ কর সাধু, তুমি আপন দোষ লুকাইতে চেষ্টা করিয়া কেবল পাপের বৃদ্ধি করিতেছ। তুমি দুষ্ট বালকের সহিত আলাপ করিয়া জুয়া খেলা শিখিতেছিলা, ইহাতে কি তোমার দোষ নাই?

 এই কথাতে সত্যবতী কাঁদিতে২ তাহার ভ্রাতার গলা ধরিয়া বলিল, হায় দাদা! ঐ দুষ্ট বংশী