পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৭০

নই কোন চিন্তা করিত না। এখন তাহার মনরূপ চক্ষু কিছু প্রসন্ন হইয়াছিল, ইহাতে সে ধর্ম্মজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়া আপন পুত্ত্রকে যে শিক্ষা দেয় নাই, এ বিষয়ে বড় ভাবিতা হইল।

 আমি করুণাকে দেখিবা মাত্র বোধ করিলাম, সে অবশ্য হতজ্ঞান হইয়াছে, কেননা মনের অসহ্য যন্ত্রণাদ্বারা সে আপন কেশ ছিঁড়িয়া বলিতে লাগিল, কে বলে যে আমার ছেল্যা হত্যাকারী? না না, সে হত্যাকারী নয়, আমিই হত্যাকারী; আমাকে মাজিষ্ট্রেট সাহেবের নিকটে লইয়া যাও, তিনি আমাকেই ফাঁসি দিউন। পরমেশ্বরের সাক্ষাতে আমি নরহত্যা করিয়াছি, অতএব তিনি যদি আমাকে একেবারে নরকে ফেলিয়া দেন, তবে তাহা আমার উপযুক্ত শাস্তি হয় বটে। হায়! আমি মা হইয়া আপন ছেল্যার শরীর ও আত্মা উভয় নষ্ট করিয়াছি। আমি তাহাকে গন্তব্য পথে চলিতে শিক্ষা দিই নাই, ঈশ্বরের আজ্ঞা লঙ্ঘন করিতে নিষেধ করি নাই; প্রথমে তাহার মনেতে রাগ, দ্বেষ, লোভাদি প্রবল হইতে দিয়াছিলাম, শেষে তাহাকে কোন প্রকারে উগরাইয়া ফেলাইতে পারিলাম না। সে আমার নিকটে পয়সা চুরি করিত, ও আপন ছোট ভাই-