পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৭২

বলিয়া ঐ শবের মাথা আপন কোলে রাখিয়া তাহার মুখে চুম্বন করত অধিক ক্রন্দন করিয়া বলিতে লাগিল, যে মায়ের নিষ্পাপি শিশু তাহার বক্ষঃস্থলে পড়িয়া প্রাণ ত্যাগ করে, সেই মা উল্লাস করুক! সে যখন ছোট শবকে ধুইয়া তৈল মাখায় ও তাহার কবর সিন্দুকে ফুল ছড়ায়, তখন সে এমত জ্ঞান করুক, আমার ছেল্যা বিবাহের বাটীতে যাইতেছে; ও যে সময়ে তাহার বন্ধু বান্ধবেরা তাহার বাছাকে লইয়া কবরে রাখে, সেই সময়ে তাহার মাও কবরস্থানে যাইয়া আনন্দযুক্ত হউক, কারণ তাহার সন্তানের দুঃখের শেষ হইল! সেই ছেল্যা আপন স্বর্গস্থ পিতার স্বর্ণময় অট্টালিকাতে থাকিয়া প্রতিপালিত হইবে; অতএব তাহার মা ক্রন্দন না করুক। কিন্তু হায়! আমার যেপ্রকার পুত্ত্রশোক, তেমন পুত্ত্রশোক জগতে খুজিয়া পাইব না। হায় আমার বংশি! তুমি এখন কোথায় আছ? হায় আমার বাছা! কে তোমার আত্মাকে নষ্ট করিল? আমি তাহা করিলাম। আমাকে ধিক্, আমি মা হইয়া আপন ছেল্যার শরীর ও আত্মা উভয়কে নষ্ট করিলাম।

 এ কথা কহিয়া দুঃখিনি করুণা আপন মনের যন্ত্রণা আর সহ্য করিতে না পারিয়া একে-