পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৮৬

 প্যারীর মৃত্যুর কথা স্মরণ হওয়াতে আয়া কাঁদিতে২ বলিল, আ মেম সাহেব! প্যারীর পীড়া হইলে পর তাহার সহিত আমার যে দুই বার সাক্ষাৎ হইল, তদ্দ্বারা আমার কেমন লাভ জন্মিয়াছে। আহা! সকল খ্রীষ্টিয়ান স্ত্রীলোকেরা যদি প্যারী ও ফুলমণির মত হইত, তবে বোধ করি অল্প দিনের মধ্যে একটিও হিন্দু কিম্বা মুসলমান আর থাকিত না।

 এমত সময়ে এক জন বাহিরে দাঁড়াইয়া আয়াকে ডাকিলে আমাদের কথোপকথন ভঙ্গ হইল; তাহাতে আমি তৎক্ষণাৎ সেই মিষ্ট রব শুনিয়া জানিলাম যে সত্যবর্তী আসিয়াছে, অতএব তাহাকে ঘরের ভিতরে ডাকিলাম। সত্যবতী আসিয়া বলিল, মেম সাহেব, মা আমাদিগকে কহিলেন, যে স্কুলহইতে ফিরিয়া আসিবার সময়ে