পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২১8

টাকা সঞ্চয় করিয়া গীর্জায় যাইবার নিমিত্তে একখান শাড়ি কিনিতে পারিব।

 এমত কথা শুনিয়া আমি সন্তুষ্টা হইয়া জিজ্ঞাসিলাম, সে কেমন উপায় বল দেখি?

 করুণা কহিল, আমাদের পাড়াতে কোন২ ধনি স্ত্রীলোকেরা সপ্তাহের মধ্যে একবার চারিটি পয়সা দিয়া পরের দ্বারা ঘর লেপিয়া লন। ফুলমণি বলিয়াছে যে আমি মহেন্দ্র বাবুর স্ত্রীকে এবং আর দুই তিন জনকে তোমার দুঃখের বিষয় জানাইব, তাহাতে তাঁহারা অবশ্য তোমাকে প্রতি সপ্তাহে ঐ কর্ম্ম করিতে ডাকিবেন। এমত হইলে আমার ভাবনা কি? সপ্তাহ গেলে চারি ঘরে যদি ৷৹ চারি আনা পাই, তবে স্বচ্ছন্দে মাসে এক টাকা উপার্জন করিতে পারিব। করুণা আরো জিজ্ঞাসিল, মেম সাহেব, আপনি কি শুনিয়াছেন যে মহেন্দ্র বাবুর স্ত্রী সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হইয়াছেন, এবং তিনি সকলের সাক্ষাতে বলিয়াছেন যে আমার বংশী তাঁহাকে মারে নাই, কিন্তু যে ব্যক্তির সঙ্গে বংশী গিয়াছিল সেই লোক ছুরিদ্বারা তাঁহার কুক্ষিদেশে আঘাত করিয়াছিল?

 আমি কহিলাম, হাঁ করুণা, আমি কল্য তাহা শুনিয়া বড় সন্তুষ্টা হইলাম, কারণ যদ্যপি সে