পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২২১

শুনিয়া বড় আহ্লাদ পূর্ব্বক বলিল, আহা করুণা! তুমি আমার মনকে কেমন প্রফুল্ল করিলা। আমি সাধুর পিতার নিকটে প্রিয়নাথকে রাখিয়া আসিয়াছি, অতএব এক দণ্ড স্বচ্ছন্দে বসিয়া তোমার সহিত কথা কহিতে পারিব। তাহাতে সে আমাকে ধর্ম্ম পুস্তকের অনেক বচন কহিয়া এই পদটি মুখস্থ করাইল, যথা; “কঠিন বাক্য ও কোপ ও রাগ ও কলহ ও নিন্দা এবং তাবৎ জিঘাংসা, এই সকল তোমাদেরহইতে দূর হউক। আর খ্রীষ্টের অনুরোধে ঈশ্বর তোমাদিগকে যেমন ক্ষমা করিয়াছেন, তোমরা তেমনি দয়ালু ও কোমল অন্তঃকরণ হইয়া পরস্পর ক্ষমা কর।” পরে ফুলমণি আমার নিকটে অনেক ক্ষণ বসিয়া যীশু খ্রীষ্টের প্রেমের বিষয় কহিতে লাগিল, তাহাতে সে সকল মিষ্ট কথা আমি পূর্ব্বাপেক্ষা ভালরূপে বুঝিতে পারিয়া বোধ করিলাম, কি জানি যীশু আমাকেও ক্ষমা করিয়া স্বর্গে লইয়া যাইবেন। কিন্তু ফুলমণি গেলে পর আর এক জন স্ত্রীলোক আমাকে বংশির মা বলিয়া উচ্চেঃস্বরে ডাকিল। সে সময়ে আমি পরিত্রাণের বিষয়ে ভাবিতেছিলাম, এই জন্যে ঐ কথাতে আমার মনে বড় ভয় হইল; তাহাতে আমি কাঁদিতে২ বলিলাম, হায়!