পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৫

হইয়াছিল, যে মধুর একটিও দোষ তাহার চক্ষে পড়িল না। তুমি তো উত্তমরূপে জান যে মধু অতিশয় মূর্খ লোক, ক খ পর্য্যন্ত জানে না; কিন্তু রাণী সকল মেয়াদের মধ্যে লেখা পড়াতে বড় নিপূণা, কেবল ঘরের কর্ম্ম করিতে বড় একটা ভাল বাসে না। এমত বিপরীত স্বভাব বিশিষ্ট লোকদের বিবাহেতে কি কখন সুখ উৎপন্ন হইতে পারে? কিন্তু সে যাহা হউক, পরের কর্ম্মে আমাদের হাত দেওয়া অকর্ত্তব্য। আইস, আমি তোমাকে চড়চড়ির নিমিত্তে কিছু তৈল দিই।

 অনন্তর করুণা ফুলমণির পশ্চাতে ঘরের মধ্যে যাইতেছিল, এমত সময়ে তাহার আঁচলে একটি বড় ছিদ্র থাকাতে সেই উক্ত চীন গোলাপের গাছে জড়িয়া ধরিল; তাহা করুণা না দেখিয়া অঞ্চলটিকে বলপূর্ব্বক টানিয়া লওয়াতে চারাটি প্রায় মূল পর্য্যন্ত ভাঙ্গিয়া গেল। তখন আপন কৃত ঐ ক্ষতি দেখিয়া করুণার বদন বড় বিষণ্ণ হইল, তাহাতে সেখানে বসিয়া সে ফুল পত্রাদিকে সংগ্রহ করিতে লাগিল। এমত কালে ফুলমণি কিছু না জানিয়া তৈলের ভাঁড় হাতে করিয়া বাহিরে আইল, কিন্তু আপন প্রিয়তম গাছটির