পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২৯৩

 ভোজন সাঙ্গ হইলে লোকেরা বিবাহের গীত গাইল, পরে পাদরি সাহেব গাত্রোত্থান করিয়া নূতন খ্রীষ্টিয়ানীর এবং বর কন্যার অনুরোধে ঈশ্বরের স্থানে প্রার্থনা করিলেন। তখন রাণী ও তাহার স্বামী ফুলমণির বাটীতে গমন করিল। ফুলমণি রাণীর প্রতি মাতাস্বরূপ ব্যবহার করিয়াছিল, অতএব সে এখন তাহাদিগকে রাখিতে চাহিলে তাহারা কলিকাতায় যাইবার পূর্ব্বে তাহার গৃহে দুই তিন দিন থাকিতে স্থির করিল। রাণীর নিকটে বিদায় হইবার সময়ে আমি তাহাকে একাকিনী কিছু সদুপদেশ দিতে চাহিয়া তাহার সঙ্গে২ ফুলমণির গৃহে গেলাম। কুঠরীর মধ্যে আমরা উভয়ে বিস্তর অশ্রুপাত করিলাম; শেষে তাহাকে অনেক প্রেমের কথা কহিয়া আমি বাহিরে আসিয়া শীঘ্র গাড়ীতে উঠিতেছিলাম, এমন সময়ে করুণা একখানা উত্তম তসর শাড়ি পরিয়া উপস্থিত হইল।

 করুণা আমাকে দেখিয়া বলিতে লাগিল, ও মেম সাহেব, একটু বিলম্ব করিয়া আমার সৌভাগ্যের কথা শুনুন! ও ফুলমণি দেখ, নবীনের বাপ আমাকে এই শাড়ি খানি কিনিয়া দিয়াছে। ইহার মূল্য চারি টাকা, কিন্তু সে টাকা তাহার