পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৩৮

 উক্ত বিষয় আন্দোলন করত চলিতে২ আমার পথশ্রম কিছুই বোধ হইল না, তাহাতে আমি প্রায় অজ্ঞাতসারে ফুলমণির গৃহে উপস্থিত হইলাম। পৌঁছিবামাত্র দুইটি ছেল্যা দৌড়িয়া আসিয়া আমাকে দ্বার খুলিয়া দিল। পরে তাহারা সেলাম করিয়া গৃহের মধ্যে শীঘ্র গিয়া আপন মাতাকে ডাকিতে লাগিল। ফুলমণি পূর্ব্বে যেরূপ আমাকে চৌকি আনিয়া দিয়াছিল, সেইরূপে তাহার কন্যাও চৌকি আনিয়া দিয়া আমার নিকটে দাঁড়াইল। বোধ হইল তৎকালে ঐ মেয়ার বয়ক্রম সাত বৎসর মাত্র। তাহার মুখ গোল আর অতিশয় প্রফুল্ল ও হৃষ্ট ছিল, এবং তাহার সুন্দর লম্বা কেশ উত্তমরূপে বাঁধা ছিল। আমি তাহার সুশীল ব্যবহার দেখিয়া বড় সন্তুষ্টা হইলাম; কারণ সে অন্য গ্রামস্থ বাঙ্গালি বালিকাদের ন্যায় পলায়ন না করিয়া আমার আয়াকে একটি পিঁড়া আনিয়া দিয়া শিষ্ট রূপে আমাদের সহিত আলাপ করিতে লাগিল।

 আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তোমার নাম কি? তাহাতে সে বলিল, আমার নাম সত্যবতী, এবং আমি সর্ব্বদা সত্য কথা কহিতে চেষ্টা করি। ইহা শুনিয়া আমি বলিলাম, সত্যবতী