পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৬১

ফুলমণি ঈশ্বরের আজ্ঞা সকল পালন করিয়া তাঁহার বাকেতে অতি যত্নপূর্ব্বক মনোযোগ করে, এই জন্যে সে আশীর্ব্বাদ পায়। যীশু খ্রীষ্ট সত্য বলিয়াছেন, যথা “প্রথমে ঈশ্বরের রাজ্য ও ধর্ম্মের বিষয়ে সচেষ্ট হও, তাহা হইলে আর সকল দ্রব্য তোমাদিগকে দত্ত হইবে।” মথি ৬।৩৩।

 করুণা কহিল, হাঁ মেম সাহেব, এমত হইতে পারে বটে, কিন্তু আমার দশাপেক্ষা ফুলমণির দশা সর্ব্বপ্রকারে ভাল। দেখুন, তাহার স্বামী কেমন ধার্ম্মিক লোক, কিন্তু আমার স্বামী দুষ্ট ও বড় মাতাল! ও মেম, সে আমাকে যে দুঃখ দেয়, তাহা যদি আপনি দেখিতেন, তবে আমার প্রতি আপনকার মনে কিছু দয়া হইত।

 ইহা শুনিয়া আমি করুণার প্রতি বড় দুঃখিতা হইয়া বলিলাম, দেখ করুণা, তোমার স্বামী যদি তোমাকে দুই একটি কঠিন বাক্য কহে, তবে কোন প্রকারে তাহা সহ্য করিতে হইবে; কেননা বিবাহিত স্বামীহইতে তোমাকে কেহ পৃথক করিয়া দিতে পারিবে না। কিন্তু সে যাহা হউক, তোমার পীড়িত সন্তান কেমন আছে? তাহা আমাকে বল।

 এই কথাতে করুণা কিছু ভয় পাইল, পরে সে কহিল, মেম সাহেব, আজি সে কিঞ্চিৎ ভাল আছে;