পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৭৮

তোমাকে অবশ্য রক্ষা করিবেন। কিন্তু মধু আপন মাথা লাড়িয়া বলিল, না রাণি, না, যীশু আমাকে গ্রাহ্য করিবেন না, আমার পরিত্রাণের দিবস বহিয়া গিয়াছে। হায়! আমি কি করিব? ইহা বলিয়া সে অচৈতন্য হইল, এবং কিঞ্চিৎ কাল পরে তাহার অপ্রস্তুত আত্মাকে পৃথিবীর বিচারকর্ত্তার বিচারস্থানে দাঁড়াইতে হইল।

 হায়! আমি যখন আপন বাটীহইতে সে দিবসে বাহির হইয়াছিলাম, তখন এমত ভয়ানক ও দুঃখজনক ঘটনা দেখিতে পাইব, তাহা আমি কিছুমাত্র বোধ করি নাই, ফলতঃ তদ্দ্বারা আমার মন অত্যন্ত শোকাকুল হইল।

 রাণি ও তাহার শাশুড়ী মধুর মৃত দেহে পড়িয়া বাঙ্গালি স্ত্রীলোকদের যেমত রীতি আছে তদ্রূপ উচ্চৈঃস্বরে ক্রন্দন করিয়া আপনারদের মস্তকে আঘাত করিতে লাগিল, এবং যে২ উত্তম গুণ বাস্তবিক মধুর কখন ছিল না, এমত গুণের বর্ণনা করত তাহার প্রসংশা করিতে লাগিল। ফুলমণি দাবাতে বসিয়া আঁচল দিয়া আপন মুখ আচ্ছাদন করিয়া কাঁদিতে ছিল। এমত সময়ে এক জন পুরুষ উঠানের মধ্যে উপস্থিত হইল; তাহার মস্তকে দুই একটি পক্ব কেশ দেখা গেল,