পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৮০

দমন করিয়াছিল, কিন্তু মেম সাহেব সেথায় থাকাতে ঝাড় ফোঁক কিছু করা গেল না, এই জন্যে ভূত তাহাকে চাপিয়া মারিল।

 আমি এই সকল কথা শুনিয়া মনের মধ্যে ভাবিলাম, হায়২! এই লোকেরা কত অনর্থক চিন্তা করে। কিন্তু তাহাদের মৃত বন্ধুর মনস্তাপ শুনিয়াও পরলোকে তাহার কি গতি হইবে? এ বিষয়ে কেহই ভাবিত হইল না।

 যে পুরুষ এমত সুশীলরূপে লোক সকলকে বিদায় করিয়াছিল, তাহার বিষয়ে শুনিলাম, সে ফুলমণির স্বামী বটে। কিছুকাল পরে সে মধুর দুই জন পিস্‌তুত ভাইকে লইয়া তাহার কবর দেওনার্থে সকল প্রস্তুত করিতে লাগিল। তখন আমি বিবেচনা করিয়া দেখিলাম, যে মধুর মায়ের টাকা কড়ির কোন অভাব নাই, অতএব আর কোনরূপে তাহাদের উপকার করিতে না পারিয়া, আমি পুনর্ব্বার আসিব, এই কথা বলিয়া বিদায় হইলাম।

 আমি আপন গৃহে পৌঁছিয়া উক্ত ঘটনা সকল মনে আন্দোলন করত মৃত্যুর এবং পরলোকের বিষয়ে এইরূপ চিন্তা করিতে লাগিলাম; যথা, আমার সাক্ষাতে এক জন বলবান্ যুব পুরুষ যৌবনাবস্থায় প্রাণ ত্যাগ করিয়াছে, ফলতঃ সে