পাতা:ফুলের মালা.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফুলের মালা । > so ভাল করিয়া বুঝিয়া যন্ত্রণ ব্যাকুল হইয়া কহিল, “তবে কি আমার কোনও উপায় নাই ?” রাজা কছিলেন, “যে উপায় নিজে অবলম্বন করিয়াছ, তাহাই আছে । যাহকে বিবাহ করিয়াছ, তাহার কাছে যাও, স্বামীই স্ত্রীলোকের একমাত্র অবলম্বন ।” রাজার মুখে—যtহার জন্ত সে মুখ-শাস্তি—এমন কি ধৰ্ম্মহীন— তাহার মুখে এই কঠোর নিৰ্ম্মম উপদেশ বাক্য সাংঘাতিক হইভেও সাংঘাতিক ! সেদিন যে গৰ্ব্বে সে রাজকুমারকে ত্যাগ ফুরিয়াছিল আজিকার গভীর নৈরাপ্তময় দুঃখের কুল-কিনার-হীন অবস্থায় সে গৰ্ব্বটুকু পর্যন্ত আর তাহার রহিল না ! তাহার সব গিয়াfছল তবু আত্মগৰ্ব্ব, আত্ম গৌরবের জোরে সর্বস্বাস্ত হইয়াও সে নত হয় নাই । কিন্তু ঝটিকচ্ছন্ন রাত্রে দিগভ্ৰাস্ত নাবিকের ধেন আজ সামান্ত কম্পাসটি পর্য্যস্ত হারাইয়া গেল ! সে জ্বতগন্ধৰ্ব, দ্বতবল, রোরুদ্যমান হইয়া কহিল—“যাহাঁকে ভাল বাসি না, যাহাকে হৃদয় দিতে পারি না, কি করিয়া তাহার সহবাস করিব ? রাজকুমার, আমাকে ততদূর হীন কৰ্ম্মে বাধা করিও না। আমাকে বিবাহ করিতে না পার আমাকে আশ্রয় প্রদান কর । যাহাকে ভালবাসি বরঞ্চ তাহার উপপত্নী হইতে পারি কিন্তু যাহাকে ভালবাসিনা কি করিয়া তাহার পত্নী হইব! রাজকুমার, সমাজ যাহাই বলুক, ভগবানের চক্ষে তুমি পতিত হইবে না, তুমি ধৰ্ম্মভ্ৰষ্ট হইবে না, আমাকে আশ্রয় প্রদান কর, আমাকে ত্যাগ ৰুরিও না।” শক্তির সেই মৰ্ম্মোখিত কাতরবাক্যে গণেশদেব কিংকর্তব্যবিমূঢ় নিৰ্ব্বাক হইয়া পড়িলেন । ক্ষণকাল পরে সংস্থত হইয়া