পাতা:ফুলের মালা.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

... or ফুলের মালা । তিনি বলিলেন, “শোন, শক্তি ! হাজার ইচ্ছা করিলেও আমি আর তোমাকে আশ্রয় দিতে পারি না। প্রাণ বাহির করিলে ও আমি আর তোমাকে আপনার করিতে পারি না, কেম না তাঙ্ক: মকৰ্ত্তব্য, অম্ভার, পাপাচরণ । তুমি এখন অন্যের বিবাহিতা, অষ্ঠের পত্নী । আমি যদি এখন তোমার স্বামী হুইতে তোমাকে ছিন্ন করিয়া আশ্রয় প্রদান করি, তাহা হইলে তোমার ও ধৰ্ম্ম নষ্ট হইবে, আমারও ধৰ্ম্ম নষ্ট হইবে। যে ভালবাস ধৰ্ম্মের প্রতিকূল তাহা অবিশুদ্ধ তাৰ পরিত্যজ্য –তুমি ইচ্ছা করিয়া তাছাকে বিবাহ করিয়াছ,—ক্টোমাকে সে বলপূৰ্ব্বক পাণিগ্রহণে বাধ্য করার নাই; সুতরাং আমি কিরূপে বিবাহিত স্বামীর অধিকায় হরণ করি স্বামীই স্ত্রীলোকের গুরু, দেবতা, ধৰ্ম্ম । যাহাকে স্বামীরূপে বরণ করিয়াছ, অনন্তমনা হইয়া এখন তাহাকেই আত্মসমর্পণ কর ; শুভ ইচ্ছায়, ধৰ্ম্মলংকল্পে ভগবান বল প্রদান করিবেন।” শক্তির আর সহ হইল না ! রাজার উপদেশ, তাহার মঙ্গল ভাব সে কিছুমাত্র উপলব্ধি করিল না। তাহার প্রত্যেক কথা, প্রেমহীন কঠোর বঙ্গদণ্ডে তাহাকে আহত করিল মাত্র। ক্ষ হ ৰিক্ষত রক্তাক্তহৃদয়ে আবার তাহার অপমানব্যথা জাগিয়া উঠিল। রাজা যে তাহার প্রেমময় আত্মবিসর্জনের মূল্য উপলব্ধি না করিয়া তাহা স্মৃণিত হেয় আসার দ্রব্যের মত অবহেলা করিলেন, ইহা তাছার মৰ্ম্মবিন্ধ করিল। রমণীর সব সহে, কেবল ইহা সহে না। সে পূর্কের গৰ্ব্ব সহসা ফিরিয়া পাইয়া অশ্রুহীন গম্ভীরভাবে বলিল,—“গণেশদেব, আমি কুলটা নহি । আত্মসন্মান, সতীত্ব রক্ষার জন্তই তোমার অtশ্রয় চাহিতে আসিয়াছিল:ম ; তোমার