পাতা:ফুলের মালা.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}} ফুলের মালা । ঘটনায় তিনি নিয়ত মনে মনে অপরাধীর আত্মপ্লানি অনুভব করেন। এখন তাহার মনে হইতে লাগিল “এই ত একজন ক্ষুদ্র রমশীর মুখশাস্তি ধর্মের উপর কুঠারাঘাত করিয়া, নিজের পৌরুষিক ধৰ্ম্ম জলাঞ্জলি দিয়া লৌকিক ধৰ্ম্ম রক্ষা করিলাম, সমাজবিপ্লব রহিত করিলাম, কিন্তু তাহার ফল কি অপৰ্য্যাপ্ত হিত ! লোকে জামুক না জালুক আমি জানি, এই রাজ্যবিপ্লব সেই ক্ষুদ্র এক জনের প্রতি অন্যায়ের প্রতিফগ! সমগ্র বঙ্গদেশ আপনার রক্তপাতেসেই সামান্ত নারীর কষ্টের প্রায়শ্চিত্ত বহন করিতেছে । সে পাপের এখনও শেষ নাই তাই আবার নূতন অশাস্তির স্বচনা! নিরাশ্রয় সাহেবুঞ্জিনকে মৃত্যুহস্তে সমর্পণ করিলে সে পাপের বৃদ্ধি ছাড়া লাঘব নাই । ভগবানের ইহা পরীক্ষা ! তাহাই হউক, আমার বীর সন্তানগণের দেহোথিত প্রত্যেক রক্তবিন্দু আমার হৃদয়াশ্রীরূপে প্রবাহিত হইয়া আমার কার্য্যের প্রায়শ্চিত্ত সমাধা করুক ! কিন্তু সেই নরক দৃঙ্গের মধ্যেও কি আমার সাৰনা নাই ? আমি সেই বীর সন্তানগণের পিতা—যাহার। আমার জন্ত, দেশের জন্ত, অসহায়ের জন্ত, ধৰ্ম্মযুদ্ধে প্রাণ সমর্পণ করিতেছে ! যাহারা পুণ্যকীৰ্ত্তিতে অমরত্ব লাভ করিয়া-মহত্ত্বের চিরদৃষ্টান্তস্বরূপ হইয়া স্বর্গের গৌরব রক্ষা করিবে ! ভগবান তাহাই হউক!-বাহিরের বাধা বিঘ্ন যেন আর তোমার মঙ্গল ইচ্ছা পুর্ণ করিতে আমাকে হীনধল না করে।” সভা বসিয়াছে। রাজধানীর মুখ্য প্রজামণ্ডলী সভাস্থলে সমবেত। সাহেবুদিন সম্বন্ধে তাহাদিগের মতামত জানিতে রাজা তাহাদিগকে আহবান করিয়াছেন। সভা লোকপূর্ণ হইলে যথাসময়ে রাজা তাহাদিগকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন,-“বৎসগণ,