পাতা:ফুলের মালা.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X 3 83 ফুলের মালা । সুলতান বলিলেন, “তোমাদের হিন্দুৰীরের কেহই ত তোমার মত্ত রক্কের মর্য্যাদা বুঝিল না ! কাপুরুষত্ব যদি তোমাকে লাভ করিতে পারে ত তাহাই আমি পৌরুষ মনে করি।” শক্তিকে মাঝে মাঝে এইরূপে আহত করিতে স্বলতানের লাগে ভাল। তাছার গৰ্ব্বিত উপেক্ষাময় ভাবের ইহাই একমাত্র প্রতিশোধ , ক্রোধে শক্তির গৌরমুপ্তি আরক্তিম হইয়। উঠিল। সেই পুরাতন অপমানের সহিত নুতন অপমান মিশ্ৰিত ইষ্টয়া ভাঙ্গর সর্বাঙ্গ জালাইয়া তুলিল। শক্তি ইহার কোন উত্তর দিতে পারিলেন না : কেবল ক্রুদ্ধ নিরুপায় জনের মৰ্ম্মেঃখিত ভীযণ অভিশাপ গণেশদেবের প্রতি নীরবে যর্ষিত হইত্তে লাগিল। গণেশদেবই তাঙ্কার এই অবস্থা করিয়াছেন ! সম্মুখে ফোয়ারার জলরাশি রজতে ছাসে ছটিয়া ছুটয়া নীচে নামিতেছে ; নিঝয় হ্রদে তারা ফুটিয়াছে, চাদ ভাসিতেছে, শক্তিময়ী ওষ্ঠাধর দৃঢ়-সংযুক্ত করিয়া ফ্রকুঞ্চিত আরক্ত নেত্রে সেই দিকে চাহিয়া হস্তসন্নিহিত বৃক্ষের ফুলদল ছিন্ন করিতে লাগিলেন । সুলতান শক্তির সেই চন্দ্রদীপ্ত ক্রোধেfম্বল মুথকাস্তির দিকে চাহিয়া চাহিয়া বলিলেন, “প্রিয়ে, এই সৌন্দর্যো পুড়িয়া মরিতেছি তবু দূরে যাইতে পারি না, হাজার তাড়াইলেও” । বলিয়া সোহাগ ভরে শক্তির মুখচুম্বন করিলেন । শক্তির পাচ বৎসর বিবাহ হইয়াছে, কিন্তু স্বামীর সোহাগ আদরে এখনও সে আপনাকে অভ্যস্ত করিতে পারে নাই-ইহা হইতে দুরে থাকিতে পারিলেই সে যেন ভাল থাকে। তাহার পর এখনকার এই মনের অযস্থায় ইহা তাহার বিষডুল্য বোধ হইল, সে শিহরিয়া মনে মনে গৰ্জ্জন করিয়া মনে