পাতা:ফুলের মালা.djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>

酸 ফুলের মালা । কুতব সভাসদগণের কথা শোনে--শুনিয়া অর্থপূর্ণ ভঙ্গীতে মাথা নাড়িয়া বলে, “আগের দিন কি আছে যে কুতবের কথা আর সুলতানের কাজ একই হইবে । এইত দেখিলে সপ্ত রাজপুত্রের প্রাণবধ হইল, কুন্তব কি কাহ নিবারণ করিতে পারিল ?” আজিম খাঁ লোকটা সরল হৃদয়, মুক্তকণ্ঠ, অন্যায়অসহিষ্ণু, অযথা অত্যাচারের বিরোধী। ইহার উপর আবার সে সাহেবুদিনের নিকট আপনার প্রাণরক্ষার জন্য ঋণী, কৃতজ্ঞতাপাশে বদ্ধ. সুতরাং এরূপ কথায় তাহার ক্রোধের আর সীমা থাকে না, সে ক্ৰোধোত্তেজিত ভীষণ হইয়া বলে, “মুলস্থান সেকন্দর সাহের বিদ্রোহী হইয়া আমরা যে গায়সূদিনকে সিংহাসনে বসাইলাম, সে কি কেবল আবার যথেচ্ছাচার সহ করিবার জন্ত ? যদি সাহেবুদিনকে বাদমাহ মুক্তি প্রদান না করেন তবে আবার যুদ্ধ বাধিবে। আর কেহ অস্ত্র না ধরে কুমারের জন্য এই হাত অস্ত্র ধরিবে ।” এই কথায় কুতব নৈরাশ্বের স্বরে বলিয়া ওঠে, “তাঁহাতে রাজপুত্র বাঢ়িবেন না, মরিবে কেবল তুমি । রাজার রাজ্য আর নাই, এ সয়তানীর রাজ্য !" অম্ভের কুতবের কথার সত্য তা হৃদয়ঙ্গম করিয়া রাজপুত্রের ভাগ্য পরিণাম কল্পনা করিয়া শিহরিয়া উঠে, এবং অন্য কোন কথা না বলিয়া সমস্বরে কুতবের শেষ বাক্যের প্রতিধ্বনি তুলিয়া গায়মুদিনের অন্যায়াচরণের জন্য নুতন রাণকে অভিসম্পাতিত করে । শক্তির বিবাহের পর হইতে, সয়তানী বেগম, রাক্ষসী রাণী, বাধিনী মহিষী প্রভৃতি তাহার এমনতর অনেক নুতন নামকরণ হইয়াছে । ফল বাহুল্য কুতবই তাহার এই সকল সুনাম