পাতা:ফুলের মালা.djvu/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ 38 ফুলের মালা । দ্বাত্রিংশ পরিচ্ছেদ । مصممهيدة جينية ويهجحه শক্তি চিরদিন আশায় নিরাশ ইয়াছে, কখনও মুখ চাহিয়া পায় নাই । কিন্তু আজ অন্তকে মুখ-শাস্তি দান করিতে গিয়াও ষখন সে ব্যর্থ-মনোরথ হইল, তাহার পরিপূর্ণ হৃদয়-উথলিত নিঃস্বার্থ সহানুভূতি পৰ্য্যন্ত যখন গণেশদেৰ অগ্রাহ অবহেলা করিলেন,তখন তাহার যে কষ্ট হইল তাহ এই ছ:থপূর্ণ সংসারেও কদাচ ঘটে । ইহ তাহার পূর্কের প্রতিশোধ-উত্তেজনামিশ্রিত, ক্ৰোধতরঙ্গসিক্ত অপেক্ষাকৃত লঘুভার মিশ্র নৈরাপ্ত নহে,-প্রতিশোধহীন, উত্তেজনাহীন,অমিশ্ৰিত, অকল্পিত জমাট দুঃখের লৌহ-কবাটনিস্পেষিত হইয়া তাহার সমস্ত প্রকৃতি যেন মুহূর্বে, প্রলয়ের ধূমকেতুর স্তায় উদ্ধৃঙ্খল, অপ্রকৃত, উৎক্ষিপ্ত হইয়া বিশ্বজীবনের সহিত এক স্বত্রত, একাত্মামৃতৃতি ছারাইল । কারাগৃহের বাহিরে আসিয়া শক্তি দেখিল আকাশে একটিও তারকা নাই, রজনীর অন্ধকার মেঘের অন্ধকারে ঘনীভূত। সে নিস্তন্ধ নিশ্চল হইয়া রহিল। চারিদিকের অবস্থা প্রকৃতরূপ উপলৰি করিতে পারিল না, নিজের অবস্থাও ঠিক বুঝিয়া উঠিতে পারিল না, আপনাকে একটা অস্তিত্বহীন, মহাশূন্ত, অন্ধকার রাত্রি বলিয়া বিভ্রম জন্মিতে লাগিল । শক্তিকে নিস্তব্ধভাবে দণ্ডীয়মান দেখিয়া প্রহরী ভাবিল, বুঝি অন্ধকারে চলিতে ভয় পাইতেছেল। সে বলিল, “আঁধারামে ডর মালুম দেতা, রোস্নাই बणां७८ ?” 曝 機 চকিতে শক্তির মোহ ভাঙ্গিয়া গেল। ধীরে ধীরে বলিলেন, *ন, চল যাইতেছি।”