পাতা:ফুলের মালা.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8* ফুলের মালা। ত্রয়োত্রিংশ পরিচ্ছেদ । শক্তি চলিল ; অন্ধকারে একাকী চলিল । অন্ধকারে চলিতে সে অনভ্যস্ত নহে, বনদেশও তাহার পরিচিত। বনস্থলীর প্রতি পথ প্রত্যেক বৃক্ষটি পৰ্য্যস্ত যেন এই অন্ধকারের মধ্যে ও তাহাকে ক্রেীড় পাতিয়া সাদরে আহবান করিতেছিল। শক্তি অতি সহজে বিনা কষ্টে সেই বনপথ লঙ্ঘন করিয়া নদীতীরে অসিয়া উপস্থিত হইল। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে নীতীরে যে তিন্তিড়িবৃক্ষ অৰ্দ্ধস্থল অৰ্দ্ধজল অধিকার করিয়া ভূশাস্ত্রী ছিল আজ তাহার গুড়িমাত্র অবশিষ্ট । সে দিন সে দুইজন ইঙ্গার উপর বসিয়া কথোপকথন করিয়াছিল তাছাদের জীবনে ও আজ কি রূপান্তর ! শক্তি সেই গুড়ির দিকে মুহূৰ্ত্তকাল চাহিয়া আবার চলিল, এবার বমমধ্য দিয়া চলিল, চলিতে চলিতে একবার থমকিয়া দাড়াইল, যে বৃক্ষতলে তাহার বহু যন্ত্রের শুষ্ক ফুলেরমালা পদদলিত করিয়াছিল সেইখানে আসিয়া স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইল ; তাহার পর বৃক্ষতল হইতে এক মুষ্টি মৃত্তিক তুলিয় আপন মণিময় অঞ্চলে ৰাধিয়া লইয়া আবার গন্তব্য পথে চলিতে আরম্ভ করিল । অল্পক্ষণের মধ্যেই শক্তি সেই পুরাতন কালিকামন্দিরের সমীপবর্তী হইল। পূৰ্ব্বে এই মন্দিরে অবস্থিতিকালে প্রতি সন্ধ্যায় গৃহাভি মুখী হইবার সময় দূর হইতে দ্বারছিদ্রপথে যেরূপ আলোক দেখিতে পাইত আজও সেইরূপ দেখিল । মানসচক্ষে মরিকক্ষে প্রতিমার সম্মুখে সন্ন্যাসিনীর মুক্তি কল্পনা করিতে করিতে দ্বারদেশে আসিয়া উপস্থিত হুইল । দ্বার ভিতর*হইতে অর্গলবদ্ধ ছিল না—উ কি মারিয়া দেখিল যাহা ভাবিয়াছিল তাহাই ঠিক,