পাতা:ফুলের মালা.djvu/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^ ফুলের মালা । শক্তি নিরূপমার নিকট হইতে এরূপ অপ্রত্যাশিত উত্তর পাইয়া হতমৰ্য্যাদা রাণীর ন্তায় ভূমিতে চরণ তাড়না করিয়া • মুতীব্র স্বরে বলিয়া উঠিল, “যাবিনে ?” “না-আ-আ° ! “যাবিনে ? আয় বলছি!” বলিয়া শক্তি তাঁহার হাত ধরিয়া হিড় হিড় করিয়া টানিয়া লইয়া চলিল। বালিকা নিরাশার বলে বলীয়ান হইয়া “না যাব না” বলিয়া চীৎকার করিতে করিতে হাত ছাড়াইবার চেষ্টা করিতে লাগিল। এই সময় তরুশাখার মধ্য দিয়া আর দুইটি বালিক সহসা দৈবসহায়রূপে প্রকাশিত হইয়। বলিয়া উঠিল, “শক্তি, ওকে কোথায় টেনে নিয়ে যাচ্ছিস্ ?—কি হয়েছে?” বলিতে বলিতে তাহারা শক্তি ও নিরূপমার নিকটবৰ্ত্তী হইয়া দাড়াইল । শক্তি তখন তাঁহার হাত ছাড়িয়া বলিল, “দেখ না! বলছি জলে চল, পদ্ম ভুলে আনি, তা যাবে না।” করুণ নয়নে সখিত্বয়ের মুখের দিকে চাহিয়া নিরূপমা বলিল, . “আমি পলে যাব।” শক্তি মুখভঙ্গী করিয়া বলিল, “কচি খুঁকি আর কি ! প'লে যাব’—” কুসুম বলিল, “ও ছেলে মানুষ, ও থাক। আচ্ছাচল আমি তোর সঙ্গে পদ্ম ভুলতে যাচ্চি।” কুমুমও শক্তি জলে নামিল, কামিনী নিরুপমার চোক মুছাইয় বলিল, “বকুল ফুল পড়েছে, আমরা আয় কুড়োইগে” চোকের জল না শুকাইতে শুকাইতেই বালিকার অধরে হাসি ফুটিল, সে বাম হস্তের মুষ্টি খুলিয়া সঙ্গিনীকে দেখাইয়া সম্বর্ষে বলিল, “এই দেখ, আমি স্থত এনেছি, মালা গেঁথে লাজকুমারকে দেব” । ফাল্গুন মাস। নব বসস্তের হিল্লোলে বৃক্ষ পত্র মৰ্ম্মর করিতেছে, প্রস্ফুটন্ত আম্র মুকুলের স্বগন্ধে চতুর্দিক আমোদিত হইয়া