পাতা:ফুলের মালা.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফুলের মালা । শক্তি দেখিল তাহার চরণতলে বিপুল সাম্রাজ লুষ্ঠিত ; আর কি দেখিল ? দেখিল—রাজকুমারের নিকট, তাহার মাতার নিকট, এখন সে আর নিতান্তই দীন হীন নহে-সে এখন তাহদেরও ভাগ্যনিয়ন্ত ! ইহাতে সে যেমন গৰ্ব্বময় আহলাদ অনুভব করিল, এমন রাজরাজেশ্বরী হইয়াছে ভাবিয়াও নহে ! বাল্যকাল হইতে শক্তির হৃদয়ে দুই প্রবৃত্ত্বি অত্যন্ত বলবতী, রাজকুমারের প্রতি ভালবাসা এবং উচ্চ হুইবার বাসন । এই দুই ভাবকে এতদিন ধরিয়া একত্রে তাহার হৃদয়-শোণিতে শক্তি পোষণ করিয়া আসিতেছিল। মূহূৰ্ত্ত পূৰ্ব্বে একটি আশা তাহার ভাঙ্গিয়াছে—রাজকুমার আর র্তাহার নহেন। কিন্তু ঐশ্বর্যের হস্ত তাহার প্রতি এখন প্রসারিত-সে তাহাকে বরণ করিবে না উপেক্ষা করিয়া ফিরিবে ? শক্তি খানিকক্ষণ নিৰ্ব্বাক হইয়া রহিল ; তাহার পর বলিল—“কিন্তু তিনি যে মুসলমান, আমি যে হিন্দু!” মু। উহা মনের ভ্রান্তি মাত্র--ভগবান ত একই। সকলেই স্ত তাহাকে ডাকিতেছি—নামভেদে কি আসে যায় ! শক্তি তাহার কথা মন দিয়া শুনিতেছিল না । সে ততক্ষণ মনের ভিতর মন দিয়া দেখিল, ঐশ্বর্য্যের আলিঙ্গনে তাহার সম্পূর্ণ পরিতৃপ্তি নাই, রাজকুমার নছিলে তাছার সমস্তই বৃথা । সে বলিল, “কিন্তু আমি তাহাকে চাই ।” উত্তর হুইল—“পাইলে না ।” “কখনও না ?”

  • কখনও না ?”

“ঠিক বলিতেছ?”