পাতা:ফুলের মালা.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

byo ফুলের মালা । জলিয়া উঠিল । তাহাকে কথা শেষ করিতে না দিয়াই বলিয়া উঠিলেন, “তুমি আমার পত্নী—আমার সম্পত্তি, তোমার হুকুমে আমি কাজ করিব, না তুমি আমার আজ্ঞানুসারে চলিবে ?” শক্তির ও নয়ন হইতে ক্রোধাগ্নি নির্গত হইল। সে দৃঢ়তাব্যঞ্জক স্বরে বলিল, “তবে আমি আপনার পত্নী নহি । আমাকে ছাড়িয়া দিতে আজ্ঞা হউক, আমি অন্তয় যাই ।” এই সময় দাসী আসিয়া খলিল, “জাহাপনা, কুতব সাহেব শীঘ্ৰ বাহিরে যাইতে বলিলেন ; নহিলে, বিপদ সম্ভাবনা ।” দাসী চলিয়া গেল • গায়দুদিন শক্তির অদম্য ইচ্ছায় নত হইয়া কাতর স্বরে বলিলেন, “প্রিয়তমে, ক্ষমা কর । আমিই তোমার আজ্ঞাবহ দাস। যুদ্ধে যাইতেছি বাচিয়া আসিব কি না জানি না, যাহার জন্ত মরিতে চলিয়াছি একবার তাহার প্রেমলিঙ্গন পাইলে মরিতেও দুঃখ নাই ।” শক্তি কছিল, “জাস্থাপনা, আমার কথার অন্তথা নাই। যত দিন যুদ্ধ শেষ না হয় ততদিন আমাদের স্বামী স্ত্রী সম্বন্ধ নাই। যদি আমাদের উভয়ের অমঙ্গল না জানিতে চান তবে আমার কথা রক্ষা করিয়া চলুন। নহিলে, আপনার শত পাহারাও আমাকে আর আপনার অন্তঃপুরের মধ্যে আবদ্ধ রাখিতে পারিবে না ইহা নিশ্চয় জানিবেন।” বাহিরে চীৎকার ধ্বনি উঠিল। কুভব ক্রতবেগে গৃহপ্ৰবেশ করিয়া বলিল, “আর এখানে নহে ; বিলম্ব করিলে আমাদের সকলকেই বন্দী হইতে হইবে । দাসীগণ শিবিকায় উঠিয়াছে বেগমসাহেবকে শিৰিকায় উঠাইয়া আমরা বনপথ দিয়া অগ্রসর হই ।” কোথায় স্থখ ! কোথায় সম্ভোগ ! কোথায় আনন্দ । সৰ্ব্বস্ব